অবশেষে খাঁচাবন্দি ‘মানুষখেকো’ চিতাবাঘ, স্বস্তি দক্ষিণ খেরকাটায়
বর্তমান | ২৯ অক্টোবর ২০২৪
সংবাদদাতা, নাগরাকাটা: অবশেষে খাঁচাবন্দি সেই ‘মানুষখেকো’ চিতাবাঘ। সোমবার ভোরে নাগরাকাটার দক্ষিণ খেরকাটা বস্তিতে বনদপ্তরের পেতে রাখা খাঁচায় ধরা পড়ল চিতাবাঘটি। স্বস্তি ফিরল গ্রামে। খাঁচাটি দুর্বল থাকায় চিতাবাঘটিকে ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু করে নিয়ে যায় বনকর্মীরা।
খুনিয়ার রেঞ্জার সজলকুমার দে বলেন, উদ্ধার হওয়া চিতাবাঘটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ। চিতাবাঘটি লাফালাফি করার জন্য জখম হয়। খাঁচাটিও একপাশে খুলে গিয়েছিল। তাই ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু করা হয়েছে। এনআইসিতে নিয়ে চিতাবাঘটির চিকিৎসা করা হবে। এরপর স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি মেনে চিতাবাঘটিকে জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে ছেড়ে দেওয়া হবে।
১৯ অক্টোবর এই বস্তিতে সুশীলা গোয়ালা নামে এক এক ১২ বছরের কিশোরীকে বাড়ির উঠোন থেকে তুলে নিয়ে যায় এই চিতাবাঘটি। পরে জঙ্গলের প্রায় এক কিমি ভিতর থেকে ওই কিশোরীর দেহ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যার পর বাড়ির বাইরে বেরোনো বন্ধ করে দেন অনেকে। শিশুদের ঘরবন্দি করে রাখতে হয়। খাঁচা পাতা হলেও তাতে এতদিন বন্দি হয়নি চিতাবাঘ। ট্র্যাপ ক্যামেরার আলো দেখেই খাঁচার সামনে থেকে পালিয়ে যেত চিতাবাঘ। পরে ক্যামেরা খুলে দেওয়ার দাবি ওঠে। তারপরই মিলল সাফল্য। এদিন ভোরে খাঁচার ছাগল খেতে আটকে পড়ে চিতাবাঘটি। খবর পেয়ে আসেন ডায়না রেঞ্জ ও খুনিয়া রেঞ্জের বনকর্মীরা। আসে নাগরাকাটা থানার পুলিসও। সকাল ন’টা নাগাদ বনকর্মীরা চিতাবাঘটি নিয়ে যায়। এলাকার বাসিন্দা রূপেশ ছেত্রী বলেন, চিতাবাঘ ধরা পড়ায় আমরা খুবই খুশি। চিতাবাঘটিকে এমন একটা জায়গায় ছাড়া হোক, যাতে ফের আমাদের এলাকায় ফিরে না আসে।
(খাঁচাবন্দি দক্ষিণ খেরকাটার ত্রাস চিতাবাঘ। - নিজস্ব চিত্র।)