শিলিগুড়ি পুরসভার একমাসে হোল্ডিং মিউটেশন ফি আদায় পৌনে পাঁচ কোটি
বর্তমান | ২৯ অক্টোবর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: নতুন রেকর্ড। একমাসে শিলিগুড়ি শহরে জমি, বাড়ি ও আবাসনের ১৭৫৬টি হোল্ডিং মিউটেশন করে ফি আদায়ের পরিমাণ প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। যারমধ্যে ১৯টি ক্যাম্পেই আদায়ের পরিমাণ ৩ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকারও বেশি। কোথাও জমির দামের উপর ০.৫ শতাংশ, আবার কোথাও ১ শতাংশ হারে তা আদায় হয়েছে।
সোমবার মিউটেশন বিভাগের রিপোর্ট পর্যালোচনা করার পর এই তথ্য দেন পুরসভার রাজস্ব বিভাগের মেয়র পারিষদ রামভজন মাহাত। বলেন, মূলত ক্যাম্প করে এই বিপুল পরিমাণ ফি আদায় হয়েছে। অতীতে কোনওদিন এত বিপুল পরিমাণ ফি আদায় হয়েছে বলে জানা নেই। পুরসভার ইতিহাসে সম্ভবত এটাই রেকর্ড। পুরসভার নিজস্ব আয় বেড়েছে। শহরের উন্নয়নমূলক কাজে আরও গতি আসবে।
শিলিগুড়িতে জমি ও বাড়ি হাতবদল ক্রমবর্ধমান। এনজেপি থেকে দেশবন্ধুপাড়া, সুভাষপল্লি থেকে কলেজপাড়া, হাকিমপাড়া থেকে হায়দরপাড়া, গুরুংবস্তি থেকে চম্পাসারি সহ সর্বত্র বহুতল আবাসন, মার্কেট কমপ্লেক্স হচ্ছে। সেগুলিই বেচা-কেনা হচ্ছে। কিন্তু হোল্ডিং মিউটেশনের গতি অনেকটাই কম। এজন্য গত সেপ্টেম্বর মাসে নড়েচড়ে বসে পুরসভা। এজন্য বিশেষ ক্যাম্প করে।
পুরসভা সূত্রে খবর, ১-২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাঁচটি বরোতে হয় ন’টি ক্যাম্প। ১, ৩ , ৪ ও ৫ নম্বর বরোতে দু’টি করে ক্যাম্প করা হলেও শুধুমাত্র ২ নম্বর বরোতে হয় একটি ক্যাম্প। সংশ্লিষ্ট ক্যাম্প থেকে জমি, বসতবাড়ি ও বাণিজ্যিক ভবন থেকে হোল্ডিং মিউটেশন ফি বাবদ আদায় হয়েছে ২ কোটি ১৮ লক্ষ ৮১ হাজার ৭৭৪ টাকা। এরবাইরে আবাসনের মিউটেশন ফি আদায় করা হয় আরও ১০ ক্যাম্পে। তাতে অংশগ্রহণ করে ১৬১টি আবাসন। তাদের কাছ থেকে হল্ডিং মিউটেশন ফি আদায়ের পরিমাণ ১ কোটি ১৯ লক্ষ ৫১ হাজার ৩৯৪ টাকা। এছাড়া পুরভবনে নিয়মিত এই ফি আদায় করা হয়েছে। এখানে আদায়ের পরিমাণ ১ কোটি ৩৫ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা। সবমিলিয়ে ফি আদায়ের পরিমাণ ৪ কোটি ৭৩ লক্ষ ৮১ হাজার ১৬৮ টাকা। এরমধ্যে ১৯টি ক্যাম্পেই আদায়ের পরিমাণ ৩ কোটি ৩৮ লক্ষ ৩৩ হাজার ১৬৮ টাকা।
পুরসভাব আধিকারিকদের একাংশ বলেন, কেউ দানপত্রে ফ্ল্যাট পেয়েছেন। আবার কেউ জমি, বাড়ি কিংবা ফ্ল্যাট কিনেছেন। সেগুলির মালিকানা পরিবর্তন হয়েছে। পুরআইন অনুসারে সেগুলির হোল্ডিংও পরিবর্তন হবে। যা হোল্ডিং মিউটেশন। দীর্ঘদিন ধরে প্রচুর মিউটেশন বকেয়া ছিল। নিয়ম অনুসারে বসতভিটা বর্তমান বাজার দর অনুসারে ০.৫ শতাংশ হারে এবং বাণিজ্যিক ভবনের ক্ষেত্রে ১ শতাংশ হারে মিউটেশন ফি অদায় করা হয়েছে। তবে বর্তমানে পুরসভায় মিউটেশনের আবেদন জমা না থাকলেও এখনও প্রচুর ফ্ল্যাট ও মার্কেট কমপ্লেক্সের মালিক মিউটেশন করেননি। এই ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
(শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব ও ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার। - নিজস্ব চিত্র।)