• সারা বছর ছাদহীন মন্দিরে বেদীতে কালীপুজো  
    বর্তমান | ২৯ অক্টোবর ২০২৪
  • সুমন রায়, রায়গঞ্জ: সারা বছর ছাদহীন মন্দিরে মায়ের বেদীতে পুজিত হন দেবী কালী। দীপান্বিতা অমাবস্যায় জাঁকজমক করে পুজো করা হয় দেবীনগর কালীবাড়িতে।


    একটা সময় পর্যন্ত নিয়ম মেনে দীপান্বিতা অমাবস্যায় সূর্যাস্তের সময় মূর্তি গড়া শুরু হতো। সেই রাতেই পুজোর পর সূর্যোদয়ের আগে বিসর্জন হতো কালীর। রায়গঞ্জের অন্যতম পুরনো এই দেবীনগর কালীবাড়ির পুজো। সঠিক সময় জানা না গেলেও প্রায় দেড়শো বছর ধরে পুজো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাসিন্দাদের একাংশ। স্থানীয়দের কথায়, ডাকাতি করতে যাওয়ার আগে প্রতি অমাবস্যায় এখানে পশুবলি সহযোগে কালীপুজো দিত ডাকাতরা। সেই নিয়ম মেনে এখনও পুজো হয়ে আসছে দেবীনগর কালীবাড়ীতে। স্থানীয় বাসিন্দা গৌরশঙ্কর মিত্রের কথায়, ডাকাতি পর্বের পর অবিভক্ত বাংলার দিনাজপুরের মহারাজা গিরিজানাথ রায় এই পুজো শুরু করেন। একদিন এই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর গাড়ির চাকা আটকে যায়। পরে তিনি স্বপ্নাদেশে জানতে পারেন কালীমায়ের বেদীর কথা। তারপর এই পুজো শুরু করেন। গিরিজানাথের মৃত্যুর পর পরবর্তী জমিদার মহারাজা জগদীশনাথ রায় পুজোর দেখভাল শুরু করেন। তাঁর অবর্তমানে মেয়ে অশ্রুলতা রায়ের নামে এই পুজো হতো। পরবর্তীতে স্বাধীন ভারতে মহারাজের লোক ও স্থানীয় বাসিন্দারা এই পুজো করলেও ধীরে ধীরে সর্বজনীন হয়ে ওঠে। বর্তমানে ট্রাস্টি বোর্ড দেবীনগর কালীবাড়ি ও দুর্গামন্দির সমন্বয় কমিটি হিসেবে পরিচিত। ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক দেবাশীষ দত্ত বলেন, এখানে বৈষ্ণব মতে পুজো হয়। ভোগ হিসেবে লুচি, সুজি, বাতাসা, মিষ্টি ও সন্দেশ দেওয়ার চল রয়েছে।  বলিপ্রথা চালু থাকলেও মায়ের পুজোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল না। প্রতিমা বিসর্জন হলে বলি হতো। বলি প্রথা বন্ধ হয় ২০১৮ সালে। এছাড়া দেবীর অলঙ্কার পুজোর সময় ব্যাঙ্কের ভল্ট থেকে বের করা হয়। ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর প্রসেনজিৎ সরকার বলেন, পুজোকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। প্রশাসন সাহায্য করে। তাছাড়া জায়ান্ট স্ক্রিনের ব্যবস্থাও থাকে। - নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)