৩৪টি ‘হার্বাল গার্ডেন’ হাওড়ায়, ঘরোয়া ওষুধ তৈরি শিখবেন স্থানীয়রা
বর্তমান | ২৯ অক্টোবর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: শুধু ঔষধি গাছের গুণাগুণ চেনানোই নয়, তা থেকে ঘরোয়া ওষুধ তৈরির পদ্ধতি শেখানো হবে গ্রামবাসীদের। তার জন্য ব্লকে ব্লকে আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথি ডিসপেনসারি সেন্টারগুলিতে হার্বাল গার্ডেন তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। হাওড়া জেলায় সব মিলিয়ে ৩৪টি হার্বাল গার্ডেন তৈরি হবে বলে ঠিক হয়েছে।
গ্রামীণ এলাকায় রোগ সারাতে বা ঠেকাতে ভেষজ উদ্ভিদের ব্যবহার বাড়াতে চাইছে স্বাস্থ্যদপ্তর। তাই রীতিমতো পরিকল্পনা করে ঔষধি গাছের সংখ্যা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। গ্রামবাসীরা নিজেরাই যাতে সেখান থেকে ওষুধ প্রস্তুত করে নিতে পারেন, তাই হার্বাল গার্ডেন তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্লকের স্টেট আয়ুর্বেদিক ডিসপেনসারি সেন্টার ও স্টেট হোমিওপ্যাথি ডিসপেনসারি সেন্টারলিতে এই উদ্যান তৈরি হবে। বাসক, গুলঞ্চ, নয়নতারা, পুদিনা, তুলসী, নিশিন্দা, অ্যালোভেরার পাশাপাশি আরও ২০টি প্রজাতির ভেষজ উদ্ভিদ থাকবে এই ধরনের উদ্যানে। প্রতিটি গাছের পাশে সেটির বৈজ্ঞানিক নাম ও উপকারিতা লেখা থাকবে। প্রশিক্ষণ শিবিরের মাধ্যমে মেডিক্যাল অফিসাররা গ্রামবাসীদের বোঝাবেন, কীভাবে বিভিন্ন ঔষধি গাছ থেকে ঘরোয়া পদ্ধতিতে আয়ুর্বেদিক পথ্য বা ওষুধ তৈরি করা সম্ভব।
জেলা মেডিক্যাল অফিসার (আয়ূষ) কল্যাণী বসু বলেন, ‘সব মিলিয়ে ৩৪টি হার্বাল গার্ডেন তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। ইতিমধ্যে ছ’টি গার্ডেন তৈরি হয়ে গিয়েছে। এক-একটি হার্বাল গার্ডেন তৈরিতে প্রায় ২০ হাজার টাকা করে খরচ হচ্ছে।’ ডিসপেনসারি সেন্টারের কর্মীরাই বাগানের রক্ষণাবেক্ষণ ও দেখাশোনা করবেন বলে জানা গিয়েছে। পরবর্তীতে এই বাগানগুলি থেকে ওষুধ প্রস্তুত করে বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে তা বাজারজাত করা সম্ভব কি না, সেই ভাবনাচিন্তা চলছে।