সংবাদদাতা, তারকেশ্বর ও বনগাঁ: সামনেই কালীপুজো এবং দীপাবলি। এই সময়ে নিষিদ্ধ শব্দবাজির দাপট রুখতে লাগাতার তল্লাশি শুরু করেছে বিভিন্ন জেলার পুলিস। উদ্ধার হচ্ছে প্রচুর নিষিদ্ধ বাজি, গ্রেপ্তারও হচ্ছেন অনেকে। তল্লাশির পাশে এমন নিষিদ্ধ বাজির বিরুদ্ধে সচেতনতার প্রচারও চালাচ্ছে পুলিস।
রবিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হুগলির দাদপুর থানার পুলিসের একটি দল হরিত গ্রামে অভিযান চালায়। পুলিসকর্মীরা সেখানে একটি বাড়ি থেকে ৩৫ কেজি নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করেন। বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। এছাড়া রবিবার সন্ধ্যায় হরিপাল থানার মাল চণ্ডীনগর এলাকায় অবৈধ বাজি বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় পুলিস। তুবরি, সেল, কালিপটকা, ব্যাটারি, গাছ বোম, বড় শেল, ছোট সেল ইত্যাদি মিলিয়ে মোট প্রায় ১১৫ কেজি নিষিদ্ধ বাজি বাজেয়াপ্ত হয়।
এদিকে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রবিবার রাতে নিষিদ্ধ শব্দবাজি উদ্ধার করল উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানার পুলিস। গ্রেপ্তার করা হয় বিক্রেতাকেও। তার নাম বিধুভূষণ দাস। তিনি গোপালনগর থানার সন্তোষপুরের বাসিন্দা। স্থানীয় কদমতলা এলাকায় অভিযুক্ত ব্যক্তির একটি দোকান রয়েছে। পুলিস গোপন সূত্রে খবর পায়, ওই দোকানে বেআইনিভাবে নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রি হচ্ছে। রবিবার রাতে সেখানে হানা দিয়ে পুলিস উদ্ধার করে ১৫ কেজি শব্দবাজি। কয়েক দিন আগে গাইঘাটা থানা এলাকা থেকেও বেশ কিছু শব্দবাজি উদ্ধার হয়েছে।
এছাড়া হুগলি গ্রামীণ পুলিসের উদ্যোগে জেলা জুড়ে নিষিদ্ধ বাজি বিরোধী প্রচার চলছে। মানুষকে গ্রিন বাজি পোড়ানোর জন্য সচেতন করছে পুলিস। নিষিদ্ধ বাজির মাধ্যমে যে বায়ুদূষণ হয় সেই বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা হয়। রবিবার যেমন ধনেখালি থানার পক্ষ থেকে ধনেখালির বাজার থেকে ধনেখালি থানা পর্যন্ত একটি সচেতনতা পদযাত্রা হয়। অন্যদিকে, হুগলি বাজি ও ডিজে বিরোধী মঞ্চও নিষিদ্ধ বাজি বন্ধের লক্ষ্যে প্রচার শুরু করেছে রবিবার।