• ঝালর-ঝিনুক-মৌমাছি, ঝিকমিক আলো কিনতে ভিড় চাঁদনি মার্কেটে
    বর্তমান | ২৯ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কখন যে বৃষ্টি আসবে কেউ জানে না। তারপর একবার এসে গেলে কখন যে থামবে তাও কেউ জানে না। তাই এতটুকু সময় নষ্ট করতে চায় না শহরবাসী। দীপাবলির প্রাক্কালে কলকাতার চাঁদনি মার্কেটে বাহারি আলো কেনার ধুম পড়েছে গত দু-একদিন ধরেই। বৃহস্পতিবারও মেঘলা আবহাওয়া উপেক্ষা করে উপছে পড়া ভিড়। জোরদার দরদাম চলছে। তার সঙ্গে কেনাকাটা। এ বছর ‘ঝালর’, ‘ঝিনুক’ আর ‘মৌমাছি’ আলোর চাহিদা বেশি। তার সঙ্গে ‘জলে ফেললেই জ্বলবে’ এমন ম্যাজিক প্রদীপেরও দেদার বিক্রি।


    ঠিক যেমন সমুদ্রের তীরে ছড়িয়ে থাকে ঝিনুক। তেমন অবিকল দেখতে ঝিনুক এখন ছড়িয়ে রয়েছে চাঁদনির দোকানে দোকানে। তাদের পেটে রংবেরঙের মুক্তোর মতো জ্বলছে হলুদ-লাল আলো। দীপাবলির রাতে এমন একখানা জ্বলন্ত ঝিনুক দিয়ে বাড়ি সাজালে দেখে কে? তাই কিনে কূল পাচ্ছে না উত্সুক বাঙালি। আমহার্স্ট স্ট্রিট থেকে এসেছিলেন মৌমিতা মুখোপাধ্যায়। বললেন, ‘কালীপুজোর আগে প্রতিবারই আসি, এখানে অনেক কম দামে নতুন ধরনের আলো পাওয়া যায় তো তাই। এবার যেমন ঝিনুক আলো পেলাম। ৮০ টাকা দাম বলল। কিনলাম। দারুণ জিনিস।’ ঝিনুকের পরই ক্রেতাদের চোখ টানছে মৌমাছি আলো। মৌমাছির মতো দেখতে ছোট ছোট সব আলো। সেগুলি দেখে বাচ্চারা খুব লাফাচ্ছে। ‘ওই দেখো মা, বি লাইট।’ বলেই ঝাঁপিয়ে পড়ল শরণ্যা। মেয়ের খুব পছন্দ এই ‘বি লাইট’। ফলে তা না কিনে উপায় নেই। কিনলেন মা। ঝালর আলোতেও এ বছর বাজার ছেয়েছে। ছোট আকারের গোলাকার দেখতে তা। একটির দাম ১০০ টাকা। আর পাঁচটার সেট কিনলে ৩৫০ টাকা। এক ব্যবসায়ীর কথায়, ‘এ বছর এখনও পর্যন্ত বিক্রি ভালোই হচ্ছে। মাঝখানে ঝড়ের জন্য হয়ত একটু ঘাটতি হবে। কিন্তু সবমিলিয়ে ব্যবসা খারাপ নয়।’ নতুন আলোর সঙ্গে পুরনো টুনি লাইটের চাহিদাও রয়েছে। ৬০ টাকা থেকে শুরু হচ্ছে সেই আলোর দাম। শেষ হাজার টাকায়। গত বছর উঠেছিল হ্যারিকেন, বাবল লাইট। এ বছরও সেগুলির চাহিদা রয়েছে।


    এগুলি তো সবই জ্বলবে বিদ্যুতে। তবে বিদ্যুত্ ছাড়াও আলো আছে। জলে একবার ফেললেই জ্বলবে সে প্রদীপ। সাদা রঙের দেখতে ছোট ছোট প্রদীপগুলোর চাহিদা ব্যাপক। কিছুই করতে হবে না, এক গামলা জলে ফেলে দিলেই ভাসবে আর আলো জ্বলে উঠবে। কীভাবে জ্বলছে? বিক্রেতা জানালেন, ‘পুরোটাই সেন্সরে কাজ হচ্ছে। দাম ৩০ টাকা। এ সব চায়না থেকে এসেছে। সাধারণ প্রদীপে তেল, সলতে লাগে। এগুলির ক্ষেত্রে কিছুই লাগবে না।’ বলেই জল ভর্তি গামলায় ছেড়ে দিলেন প্রদীপ। সেগুলি ঝিকমিক করে জ্বলতে শুরু করল। ক্রেতারা দেখে বললেন, ‘আগে একটা প্রদীপ এসেছিল জল ভরলে জ্বলত। এখন দেখছি ভাসালেই জ্বলছে। চমৎকার।’
  • Link to this news (বর্তমান)