নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিলেন পার্থ। প্রেসিডেন্সি জেলে থাকাকালীন বেশ কয়েক বার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। বিবিধ শারীরিক অসুবিধা রয়েছে তাঁর। আদালতে আইনজীবী মারফত একাধিক বার শারীরিক সমস্যার কথা জানিয়েছেন তিনি। পার্থের শরীর স্থূল। সেই সংক্রান্ত কিছু সমস্যাও তাঁর রয়েছে। তবে পার্থের পায়ের ব্যথা বহু দিনের। জেলবন্দি হওয়ার আগে থেকেই পায়ের সমস্যায় ভুগতেন তিনি। জেলে থাকাকালীন সেই সমস্যা আরও বেড়েছে বলে দাবি করেন পার্থের আইনজীবী। শুধু তা-ই নয়, কাঁধে ব্যথা, চর্মরোগ সংক্রান্ত সমস্যাও দেখা দিয়েছে।
কারা দফতর সূত্রে খবর, আদালতের নির্দেশ মতো প্রতি মাসেই জেলে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হয় পার্থের। সেই স্বাস্থ্যপরীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী পথ্যও দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। মঙ্গলবার সেই মতোই জেলে পার্থকে পরীক্ষা করতে গেলেন চিকিৎসকেরা। মেডিক্যাল দলে রয়েছেন মেডিসিন, অস্থি বিশেষজ্ঞেরা। তবে পার্থের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে নতুন কোনও জটিলতা পাওয়া গিয়েছে কি না, তা এখনও জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, ২০২২-এর ২২ জুলাই নাকতলায় পার্থের বাড়িতে হানা দিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। সে সময়ও তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বলে শোনা গিয়েছিল। ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যেই পার্থের বাড়িতে এসএসকেএমের চিকিৎসকদের যেতে দেখা গিয়েছিল। এর পর পার্থকে গ্রেফতারির পর তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেখান থেকে আদালতের নির্দেশে ভুবনেশ্বর এমসে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পার্থকে।
জামিন চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন পার্থ। দুর্গাপুজোর আগেই সেই মামলার শুনানি শেষ হয়েছে হাই কোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রেখেছেন বিচারপতিরা। কবে এই মামলায় রায় দেওয়া হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।