স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার এনআইএ তদন্ত চলাকালীনই ভাটপাড়ার ৬ নং গলিতে বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্কুর বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কয়েকটি বোমা। সকালে স্থানীয় বাসিন্দারাই রাস্তায় কয়েকটি তাজা বোমা পড়ে থাকতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে আতঙ্ক ছড়ায় গোটা এলাকায়। খবর দেওয়া হয় ভাটপাড়া থানায়। খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ এসে চত্বরটি ঘিরে দেয়। বোমা নিষ্ক্রিয় করতে বম্ব স্কোয়াডের প্রশিক্ষিত সদস্যেরা এলাকায় পৌঁছেছেন।
যদি এই বোমা রাখা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিজেপি এবং তৃণমূলের তরজা। প্রিয়াঙ্কুর অভিযোগ, তাঁকে খুনের জন্যই বোমা রেখেছে তৃণমূল। প্রসঙ্গত, আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে গত ২৮ অগস্ট বিজেপির ডাকা বাংলা বন্ধের দিনে ভাটপাড়ায় বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহের ঘনিষ্ঠ প্রিয়াঙ্কুর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি-বোমা ছোড়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বোমা-গুলি চালানো হয় অর্জুন-ঘনিষ্ঠ আর এক নেতা রবি সিংহের গাড়ি লক্ষ্য করেও। অর্জুনের অভিযোগ, তাঁর দলের নেতার গাড়ি লক্ষ্য করে অন্তত ছ’রাউন্ড গুলি চালানো হয়। তাতে ওই দুই বিজেপি নেতা ছাড়াও জখম হন গাড়ির চালক। সেই ঘটনারই তদন্তে সোমবার ভাটপাড়ায় গিয়েছিল এনআইএ-র একটি দল।
প্রিয়াঙ্কুকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বলেন, ‘‘দু’মাস আগে আমার উপর যে আক্রমণের ঘটনাটি ঘটেছিল, সেই রেশ টেনেই ফের আমার বাড়ির পাশে আক্রমণের চেষ্টা হল। গত দু’মাসে পুলিশের উপর থেকে ভরসা চলে গিয়েছে। তারা ঠিক ভাবে তদন্ত করছে না। আমি ১০০ শতাংশ নিশ্চিত, আমাকে খুনের পরিকল্পনা করেই বোমা রাখা হয়েছে। আমি চাই, এনআইএ তদন্ত করুক।’’
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ভাটপাড়ার তৃণমূলের যুব প্রেসিডেন্ট অমিত সাউ। তাঁর দাবি, নিজেরাই বোমা রেখে এলাকায় আতঙ্ক ছড়াচ্ছে বিজেপি। অমিত বলেন, ‘‘ওই বাড়িতে প্রিয়াঙ্কুরা কেউ থাকেন না। ২০২১ সাল থেকে ওই বাড়ির সামনে এই নিয়ে তৃতীয় বার বোমা রাখার ঘটনা ঘটল। আসলে ওরা এখানে মাটি হারিয়েছে। তাই এখন অশান্তি করে মানুষকে বিভ্রান্ত করাই বিজেপির উদ্দেশ্য।’’