শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, এর আগে শিক্ষাবর্ষের শুরুতে স্কুলের পোশাক সংক্রান্ত ওয়ার্কঅর্ডারের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। শিক্ষা দফতরের কর্তাদের দাবি, সেই অনুযায়ী স্বনির্ভর গোষ্ঠী স্কুলগুলিকে পোশাক সরবরাহ করেছে।এর পরে যে সব স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা বেড়েছে, তারা নতুন করে পোশাক পায়নি। আবার অনেক স্কুল প্রথমদফায় ওয়ার্ক অর্ডার স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে দেয়নি। তাই সেই সব পড়ুয়াদের পোশাক সরবরাহেরজন্য প্রধান শিক্ষকদের নতুন করে ওয়ার্ক অর্ডার তৈরি করেস্বনির্ভর গোষ্ঠীকে দিতে বলল শিক্ষা দফতর।
যদিও প্রধান শিক্ষকদের একাংশের মতে, স্কুলেরপোশাক নিয়ে বিস্তর অভিযোগ আছে পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের। সেই সব অভিযোগেরওনিষ্পত্তি হয়নি। প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সংগঠন ‘অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্সঅ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস’-এর রাজ্য সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, ‘‘অনেক স্কুলেই স্বনির্ভর গোষ্ঠী যে পোশাক সরবরাহ করেছে, তারমান এতই খারাপ যে অভিভাবকেরা তা নিতে চাননি। অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের হাফ প্যান্ট দেওয়া হয়েছে।দু’টি সেট পোশাকের বদলে একটি করে সেট পোশাক দিচ্ছে। এমনও হচ্ছে, মেয়েরা তাদেরপোশাকের দুই সেট সালোয়ার কামিজ পেল। কিন্তু ওড়না পেল একটি। পোশাকের মাপেও ভুল হচ্ছে। পোশাকের মান খারাপ হওয়ায় কখনও আবার অভিভাবকেরা স্কুলে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন। এর ফলে অনেক স্কুলের প্রধান শিক্ষক পোশাকের ওয়ার্ক অর্ডার দিতে অনাগ্রহী হয়েছেন।’’
অথচ স্কুলের পোশাকের মান নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই বলে দাবি করেছেন শিক্ষা দফতরের কর্তারা। পড়ুয়াদের পোশাকেরমাপের কিছু হেরফের হতে পারে। তবে সেটা সঙ্গে সঙ্গে স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে জানালে, তারা মাপ ঠিক করে ফের স্কুলকে সরবরাহ করে দিচ্ছে। স্কুল শিক্ষা দফতরের এককর্তার বক্তব্য, চলতি বছরে এক জন পড়ুয়া পোশাক পায়নি, এমনটাও যেন না হয়। সেটা সুনিশ্চিত করতে ফের এই ওয়ার্ক অর্ডারের বিজ্ঞপ্তি জারি হল।