পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত যুবকের নাম ইমরান। বছর ছাব্বিশের এই যুবক পেশায় প্রোমোটার। নারকেলডাঙা নর্থ রোডের বাসিন্দা ইমরানকে রাতে কয়েক জন ডেকে পাঠান। অভিযোগ, ফোন পেয়ে ইমরান কাইজ়ার স্ট্রিটে গেলে তাঁকে প্রথমে প্রাণে মারার হুমকি দেন তিন-চার জন দুষ্কৃতী। তার পর ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো হয়।
ইমরানের পিতা শেখ আব্দুল সামাদ দাবি করেছেন, অভিযুক্তদের সঙ্গে পিস্তল ছিল। এমনকি তাঁর ছেলেকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগও তুলেছেন তিনি। যদিও সামাদ জানান, ছেলের আঙুল ছুঁয়ে গুলি বেরিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় ইমরানকে প্রথমে এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। আহত যুবকের আঙুলে গুরুতর চোট রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, পুরনো শত্রুতার জেরেই এই হামলা। তবে এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে তদন্ত শুরু করেছে লালবাজার। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশিও শুরু হয়েছে। তবে এই ঘটনায় রাতের কলকাতার নিরাপত্তা নিয়ে ফের প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। যে জায়গায় হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ, শিয়ালদহের ডিআরএম অফিস সেখান থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে অবস্থিত। এমন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় দুষ্কৃতীরা কী ভাবে এই কাজ ঘটাল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন বাসিন্দাদের একাংশ।