নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে সায়ন্তিকা আরও বলেন, 'আসলে ৩৪ বছর চেয়ার থাকার অভিজ্ঞতার জন্য উনি কোলটাকেও চেয়ার মনে করেছিলেন বোধ হয়। এলাকায় কোন রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে আসলে আমরা ওঁকে বাধা দেব না ঠিকই কিন্তু কর্মসূচি করতে এলে বুঝব ওঁর কোনও লজ্জা নেই।'
অভিনেত্রী বিধায়ক আরও বলেন, 'অন্য মেয়েদের কি বলব কেউ যদি ওঁকে অনুমতি দিয়ে কল দিতে রাজি হয় উনি বসবেন আমি তো ওঁর সঙ্গে আলাদা করে কোন কথা বলব না। পুলিসি তদন্ত শেষ হওয়ার আগে আমি ওঁকে দোষী বলছি না। কিন্তু ওঁকে নির্দোষ হওয়ার সম্ভাবনাটাও খুব কম।'
প্রসঙ্গত, সোশ্যাল মিডিয়ায় এক মহিলা সাংবাদিক তন্ময় ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তোলেন। এরপরই তাঁকে বরানগর থানায় তলব করা হয়। তাঁকে প্রায় ঘণ্টা তিনেক জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস।
থানা থেকে ফিরে বাড়িতে সাংবাদিক বৈঠকে তন্ময় বলেন, 'সম্ভবত আমি যা দেখেছি, ভদ্রমহিলার ওজন ৪০ কেজির বেশি নয়। আমার ওজন ৮৩ কেজি। ৮৩ কেজি ওজনের একটি পুরুষ মানুষ যদি ৪০ কেজি ওজনের মহিলার কোলে বসে পড়েন, তাহলে কি সে মহিলা শারীরিক দিক থেকে সুস্থ থাকেন? আমি জানি না। আমি কোনওদিন বসিনি ৪০ কেজির মহিলার কোলের উপরে'। শ্লীলতাহানির অভিযোগে ভিত্তিতে তন্ময়কে সাসপেন্ড করেছে সিপিএম।