এলাকায় পৌঁছে বেশ কয়েকটি টিউবওয়েল সিল করে দিয়েছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা। সরকারিভাবে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছানোর জন্য পাইপ লাইন বসানো হয়েছে, কিন্তু সেই জল এখনও পৌঁছায় না। সেই জন্যই মৃত্যুর মুখে পড়তে হচ্ছে, অভিযোগ স্থানীয়দের। এলাকার মানুষের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ। অসুস্থ মহিলার স্বামী মুঠু হাঁসদার অভিযোগ,"আমার স্ত্রীর মাথা ঘুরতে থাকে বমি হতে থাকে এবং পায়খানা হতে থাকে। অচৈতন্য হয়ে পড়লে স্ত্রীকে ভর্তি করি প্রথমে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। সেখান থেকে পরে বিধান নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করি। যেখানেই চিকিৎসা চলছে। পঞ্চায়েতে তরফ থেকে এখন দেওয়া হচ্ছে ট্যাঙ্কারে করে জল। আর সরকারিভাবে বসানো পাইপ লাইনে আজও জল আসে না। সোমবার একবার জল দেওয়া হয়েছিল। সেই জলের গুণমানও খারাপ। মঙ্গলবার এখনও পর্যন্ত জল দেওয়া হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে টিউবওয়েলেরই জল খেতে হচ্ছে। সেই জন্যই আমাদের এই রকম দুর্ভোগের মুখে পড়তে হচ্ছে।"
কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য বলেন,"স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে কথা বলে গোটা এলাকায় নজরদারি চালানো হচ্ছে। ওষুধ এবং পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দ্রুত যাতে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে যায় বাড়িতে বাড়িতে সেই ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।" কাঁকসা সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক পর্ণা দে-র বক্তব্য," আমরা খবর পেয়েছি। মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে। জলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে।" অন্যদিকে দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুই এর বক্তব্য, একদিকে জল শহ বিভিন্ন সমস্যা, অন্যদিকে তৃণমূলের নেতারা তোলাবাজিতে ব্যাস্ত ।"