প্রসঙ্গত সন্দীপ ঘোষের আমলে অর্ডার দেওয়া গ্লাভস আরজি করে এসে পৌঁছলে রাবারের গায়ে লাল দাগ দেখে বিতর্ক দানা বাঁধে। অভিযোগ ওঠে, গ্লাভসের গায়ে রক্ত! আর সেই গ্লাভস ব্যবহার করেই নাকি আরজি কর হাসপাতালের ট্রমা কেয়ারে রোগীর পরিষেবা দিতে হবে! ওই গ্লাভস পরে রোগীদের চিকিৎসা করা হলে সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যাবে! এই গ্লাভস থেকে এইচআইভি, হেপাটাইটিসের মতো রোগ ছড়াতে পারে! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন জুনিয়র চিকিত্সকরা। তাদের অভিযোগের পরই স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম তদন্তের নির্দেশ দেন। কেন্দ্রীয় মেডিক্যাল স্টোরকে তদন্ত করে দেখতে বলা হয়। একইসঙ্গে ওই রক্তমাখা গ্লাভসগুলি আলাদা করে সরিয়ে রাখতে বলা হয়। এখন বায়ো কেমিস্ট্রি রিপোর্টে এই ঘটনা নয়া মোড় নিল।
ওদিকে আরজি করে যখন গ্লাভস নিয়ে বিতর্ক চলছে, তখন এসএসকেএম-এ আবার জং ধরা কাঁচি নিয়ে অভিযোগ সামনে আসে। গতকাল এসএসকেএম হাসপাতালে এক অন্তঃসত্ত্বার অস্ত্রোপচার করার সময়, চিকিৎসক দেখতে পান যে হাতের কাচি জং ধরা। জানা যায় সদ্য মেডিকেল স্টোর থেকে নতুন কাচি হিসেবেই এগুলোকে পাঠানো হয়েছে। অথচ সেই নতুন কাচি জং ধরা। এখন এই জং ধরা কাঁচি অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারত ওই প্রসূতির অপারেশনে! নতুন স্টকের যে ক'টি কাঁচি বা সিজার এসেছে তার সবকটিতেই পুরনো জং ধরা কাচিতে রঙের প্রলেপ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ পেতেই গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ। সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোরের কাছেও বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে।