এমবিবিএস পাস করার পর হাউস স্টাফ নিয়োগ করা হয়। সেই নিয়োগেও দুর্নীতি হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। কিন্তু ওই দুর্নীতির পেছনে কোনও আর্থিক লেনদেন রয়েছে নাকি কোনও স্বার্থ জড়িত রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিষয়টি আদালতে জানানো হবে আগামী মাসে মামলাটি ফের আদালতে উঠলে। সিবিআই সূত্রে খবর, একাধিক ভুয়ো বিল উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে কাজ হয়নি অথচ বিল করে দেওয়া হয়েছে। ওই বিলের পরিমাণ কখনও ১০ হাজার তো কখনও ১ লাখ।
এনিয়ে জুনিয়র চিকিত্সক ত্রিনেশ মণ্ডল বলেন, ছাত্ররা বহুবার সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে। কাছের লোকজনকে হাউসস্টাফশিপ পাইয়ে দেওয়া, পরীক্ষায় তাদের বেশি নম্বর পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। আন্দোলনকারী ছাত্রদের ইন্টার্নশিপ না করতে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হতো। বায়োমেডিক্যাল ওয়েস্ট বিক্রির করার মতো অভিযোগ রয়েছে সন্দীপের বিরুদ্ধে। আমরা চেয়েছিলাম এনিয়ে সিবিআই তদন্ত করুক। সন্দীপ ঘোষ ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে যে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠছে তাক তদন্ত সিবিআই করুক তা আমরা চাই।
এ বিষয়ে সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষ বলেন, প্রমাণ দাখিল করে দোষীদের অপরাধ প্রমাণ করার দায়িত্ব সিবিআইয়ের। কিন্তু বুঝতে পারছি না জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের উপরে কেন সরকারের এত রাগ। মৌচাকে ঢিল মারা হচ্ছিল বলে! স্বাস্থ্যে দুর্নীতির মানে মানুষের মৃত্যু। তৃণমূল বলছিল সরকারি হাসপাতাল বন্ধ থাকলে গরিব মানুষের অসুবিধে হবে। গরিব মানুষের কোন সুবিধেটা তৃণমূল সরকার করছিল?