দেব গোস্বামী, বোলপুর: ওসির বিরুদ্ধে ‘দিদিকে বলো’-তে অভিযোগ জানাতেই পদক্ষেপ করেছে প্রসাশন। সেই ঘটনায় সাহজ জোগালো অন্যদের। কীর্ণাহার থানার ওই ওসির বিরুদ্ধেই একের পর এক অভিযোগ জমা পড়েছে জেলার পুলিশ সুপারের দপ্তরে।
দিন কয়েক আগে ‘দিদিকে বলো’তে অভিযোগ জানানোর পর সিউড়ি পুলিশসুপারের কাছে ফের কীর্ণাহার থানার ওসি শেখ আশরাফুলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা করেন মিরাটী গ্রামের ব্রাহ্মণপাড়ার বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও স্ত্রী সুমিত্রা ঘোষ। এর পর থেকে ওই ওসির বিরুদ্ধে পুলিশসুপারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন কীর্ণাহার জয়ন্তীপুর কলোনি দিঘলডাঙার বাসিন্দা ছবি দাস। তিনি জানান, তাঁর বৃদ্ধ স্বামীকে চলতি মাসের ২৬ শে অক্টোবর কোনও নোটিস ছাড়া বসত বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় কীর্ণাহার থানার পুলিশ। দিনরাত অভুক্ত অবস্থায় বসিয়ে রাখে থানায়। বলে পাঁচ হাজার টাকা দিতে হবে। অন্যথায় জেলে ঢোকাবে। নানারকম অত্যাচার করে টাকা আদায় করেন ওই ওসি। পুলিশের ভয়ে এতদিন মুখ খুলতে পারেননি তাঁরা। তবে এবার পুলিশ সুপারের দারস্থ হয়েছেন।
এহেন অভিযোগ রয়েছে ভুরি ভুরি। অভিযোগ রয়েছে কীর্ণাহার থানার পোসলা গ্রামের বাসিন্দা শেখ সানারুলেরও। তাঁর অভিযোগ, মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে তিন লক্ষ টাকা নিয়েছেন ওসি শেখ আশরাফুল। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের কথায়, কীর্ণাহার থানার ওসি শেখ আশরাফুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এই প্রথম নয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী-সহ অনেকেই অভিযোগ করেছে নানা সময়ে। আগেও জেলা পুলিশসুপারের কাছে একাধিক অভিযোগ ও জমা পড়েছে।