হাতে আর দু’দিন। তারপরই বাংলাজুড়ে মানুষজন মেতে উঠবেন কালীপুজো উৎসবে। তার জন্য পুলিশ প্রশাসন সর্বত্র নজর রেখেছেন। যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। আর এই কালীপুজোর রাতকেই বেছে নেওয়া হয়েছিল ডাকাতি করার জন্য। সেই মতো সমস্ত পরিকল্পনা করা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেই পরিকল্পনা বানচাল করে দিল পুলিশ। গোপন সূত্রে আগেই খবর পেয়ে যায় পুলিশ। তারপর ডাকাতদের ধরতে নেমে পড়ে অপারেশনে। যা টের পায়নি ডাকাত দল। আর তাতেই ১০ জন ডাকাতকে গ্রেফতার করল দুর্গাপুর থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, কালীপুজোর রাতে বিভিন্ন বাড়ির গৃহস্থরা প্রতিমা দর্শন করতে যায়। আবার সোনার দোকানে ভিড় জমান। তাই ডাকাত দল দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে সোনার দোকান এবং গৃহস্থদের বাড়িতে ডাকাতি করার ছক কষে ছিল। কিন্তু সেটা বাস্তবায়িত হল না। গ্রেফতার করা হল ওই ডাকাত দলকে। গ্রেফতার করার পর তাদের দফায় দফায় জেরা করা হয়েছে। তখনই তারা স্বীকার করেছে, কালীপুজোর রাতে একাধিক বহুতল, আবাসন, বাড়ি এবং সোনার দোকানকে টার্গেট করেছিল। সেই মতো ডাকাতি করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কয়েকদিন আগেই নবান্ন থেকে রাজ্য পুলিশকে সতর্ক করেন। সজাগ থাকতে নির্দেশ দেন পুলিশকে। কারণ কোনও অশান্তি, অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে তার জন্য। এমনকী কিছু দুষ্কৃতী এই সুযোগটা নিতে চলেছে বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেটাই এবার হুবহু মিলে গেল। রবিবার রাতে আগাম খবরের ভিত্তিতে দুর্গাপুর থানার পুলিশ সবুজ নগর লাগোয়া জঙ্গলে অভিযান চালায়। সেখানেই ওই ১০ জন ডাকাতকে পাকড়াও করে। গ্রেফতারের সময় ডাকাতদের সঙ্গেই ছিল ডাকাতি করার নানা সরঞ্জাম।
এই ডাকাত দল দুর্গাপুরের শপিং মল থেকে শুরু করে বেশ কয়েকটি সোনার দোকান রেইকি করেছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। দুটি দলে ভাগ হয়ে গিয়ে গোটা অপারেশন করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু পুলিশের কাছে সেই খবর চলে আসে। আজ, মঙ্গলবার ১০ জন ডাকাতকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। ধৃতরা প্রত্যেকেই নানা জেলার বাসিন্দা। তাদের কাছ থেকে পাওয়া গিয়েছে— লোহার রড, দড়ি, চেন, দরজা ভাঙার শাবল, ভোজালি, তালা কাটার যন্ত্র–সহ তিনটি মোটর সাইকেল। এগুলি সব বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।