ইঞ্জেকশন দিয়ে অজ্ঞান করে রোগিণীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ, হাসনাবাদে গ্রেফতার ডাক্তার
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৯ অক্টোবর ২০২৪
শরীরটা ভাল যাচ্ছিল না এক রোগিণীর। তাই স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন গৃহবধূ। চিকিৎসা শুরুর আগে নানা বিষয় জিজ্ঞাসাবাদ করেন ওই স্থানীয় ডাক্তার। তাতে বেশ কয়েকটি পারিবারিক কথা বেরিয়ে পড়ে। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চিকিৎসা করার নামে ইঞ্জেকশন দিয়ে অজ্ঞান করানো হয় রোগিণীকে। তারপর তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। আর এই অভিযোগেই গ্রেফতার করা হয়েছে ওই স্থানীয় ডাক্তারকে। উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদে রোগিণী বধূকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। তাই অভিযুক্ত ডাক্তারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ, মঙ্গলবার তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই গৃহবধূর শরীরটা একটু দুর্বল লাগছিল। হঠাৎ এমন হওয়ার জেরে কাজে প্রভাব পড়ছিল। এই কারণে হাসনাবাদের বরুণহাটে স্থানীয় এক ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন তিনি। ওই গৃহবধূর অভিযোগ, নানা কথা বলে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করে ওই ডাক্তার। তারপর একটা ইঞ্জেকশন দেওয়ার কথা বলেন। সেই ইঞ্জেকশন দিয়ে অজ্ঞান করে দেওয়া হয়। তারপর ধর্ষণ করেন ওই অভিযুক্ত ডাক্তার। আর যখন জ্ঞান ফেরে তখন ওই ডাক্তার হুমকি দেয়, আপত্তিকর ছবি তুলে সে তুলে রেখেছে। কাউকে বললে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়া হবে।
এখানেই শেষ নয়, নানা কথা বলে ওই ডাক্তার জানতে পারে বধূর স্বামী কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে থাকেন। সেটা জানতে পেরে ওই গৃহবধূর উপর চাপ বাড়াতে শুরু করেন ধৃত ডাক্তার। যে ছবি মোবাইলে তুলে রাখা হয় সেটা বারবার দেখিয়েই নানা সময়ে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ওই গৃহবধূ। এমনকী ভয় দেখিয়ে অভিযুক্ত ডাক্তার তাঁর কাছ থেকে চার লক্ষ টাকা নিয়েছেন বলেও অভিযোগ গৃহবধূর। এই সমস্ত অভিযোগ ওই বধূ পুলিশকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই অভিযুক্ত ডাক্তারকে গ্রেফতার করা হয়।
ওই ডাক্তার ভয় দেখিয়ে বাড়িও চলে আসত। আর কখনও দিনে, কখনও রাতে বধূকে ধর্ষণ করত বলে অভিযোগ। গৃহবধূর স্বামী কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে থাকেন এটা জানতে পারার পর থেকেই যৌন নির্যাতন বেড়ে যায়। ওই নির্যাতিতা গৃহবধূ পুলিশকে জানান, দিনের পর দিন অত্যাচার বেড়েই যাচ্ছিল। আর সেটা সহ্য করতে না পেরে স্বামীকে গোটা ঘটনার কথা বলে দেন তিনি। স্বামী বাড়ি ফিরলে হাসনাবাদ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। সোমবার রাতেই অভিযুক্ত ডাক্তারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্তকে দফায় দফায় জেরা করা হয়। আর ওই গৃহবধূর গোপন জবানবন্দি নেবে পুলিশ।