শুভেন্দুর খাসতালুকে বিজেপির পঞ্চায়েত বোর্ডে ভাঙন, প্রধান–সহ ৩ সদস্য তৃণমূলে
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৯ অক্টোবর ২০২৪
রামনগরে সমবায় সমিতির নির্বাচনে বিজেপি গোহারা হারার রেশ এখনও কাটেনি। তার মধ্যেই এল আরও একটি ধাক্কা। প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের লোকসভা কেন্দ্র তমলুকে ভাঙন ধরল বিজেপির। এই তমলুক আবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুক। এখান থেকেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কে প্রার্থী করে জেতানো হয়েছিল। এবার মহিষাদলের বেতকুণ্ডু গ্রাম পঞ্চায়েত দখল নিতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যা তমলুক লোকসভার অন্তর্গত। বিজেপিতে থেকে উন্নয়নের কাজ করতে পারছেন না অভিযোগ তুলে প্রধান–সহ বিজেপির তিন সদস্য যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে।
এই ঘটনায় বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত ভেঙে যেতে বসেছে। এখন রাজ্যে উপনির্বাচনের আবহ। তার মধ্যে এমন ঘটনা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। রবিবার সন্ধ্যায় কুমুদিনী ডাকুয়া মঞ্চে মহিষাদল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনী ছিল। সেখানে উপস্থিত হন বেতকুণ্ডু গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ঝর্ণারানি দাস এবং আরও দুই পঞ্চায়েত সদস্য। তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা হাতে তুলে নেওয়ায় সমীকরণ বদলে গেল। মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া ছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী। তাঁরাই দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে স্বাগত জানান গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ও দুই সদস্যকে। আর তার জেরে বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত ভেঙে যেতে চলেছে।
বেতকুণ্ডু গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ২৬। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি এখানে জেতে ১৪টি আসন। বাকি ১২টি আসনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের ঝুলিতে আসে ১০টি। আর একটি করে আসন জেতে আইএসএফ ও নির্দল। সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করে বিজেপি। কিন্তু এবার প্রধান–সহ বিজেপির তিন সদস্য দলবদল করার ফলে আসন সংখ্যা বাড়িয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত দখলের পথে এগিয়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেস। মহিষাদলের বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী বলেন, ‘বিজেপির জনপ্রতিনিধিরা এখন বুঝতে পেরেছেন উন্নয়নে তৃণমূল কংগ্রেসের বিকল্প কোনও দল নেই। তাই তাঁরা বিজেপি ছাড়তে শুরু করেছেন।’
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তমলুক এবং কাঁথি দুটি আসন জেতে বিজেপি। এই দুটি আসন শুভেন্দু অধিকারীর গড় বলে পরিচিত। সেখানে এমন ভাঙন বিজেপিকে ঘরের মাঠে চাপে ফেলে দিল বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও বিজেপি এখনও এই বিষয়ে তেমন কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তবে দলবদল করা প্রধান–সহ তিন সদস্য জানান, বিজেপিতে থেকে পঞ্চায়েত চালানো যাচ্ছিল না। কঠিন হয়ে পড়ছিল পরিস্থিতি। তাই উন্নয়ন করার স্বার্থে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করা হয়েছে।