'আবাসের নামে অনেক দিন পর নতুন ব্যবসা পেয়েছে TMC নেতারা, একেবারে দীপাবলি বাম্পার'
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৯ অক্টোবর ২০২৪
আবাস যোজনার সমীক্ষায় বঞ্চনার অভিযোগে রাজ্যজুড়ে চলছে বিক্ষোভ। তারই মধ্যে বিস্ফোরক দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘আবাসের নামে অনেকদিন পরে ভালো ব্যবসা পেয়েছে তৃণমূল নেতারা। একেবারে দীপাবলি বাম্পার।’
এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘আবাস যোজনার যে ১১ লক্ষ নামের তালিকা প্রকাশ হয়েছে তা সম্পূর্ণভাবে ভুলে ভরা। আবাসে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ১৭টা দল পশ্চিমবঙ্গে পাঠিয়েছিল। তদন্তে উঠে এসেছিল, বহু অযোগ্য মানুষকে বাড়ি দেওয়া হয়েছে, যোগ্য লোককে দেওয়া হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমানে রাজ্যের সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ রেখেছেন। তিনি তাঁর আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন যে যতটা পারা যায় যেন নাম বাদ দেওয়া যায়। কারণ টাকা বেশি নেই।’
তাঁর দাবি, ‘এই তালিকাতে কয়েক লক্ষ যোগ্য লোকের নাম নেই। যে নাম এসেছে তাতে অধিকাংশই তৃণমূল কংগ্রেসের লোকের নাম। যাদের পাকা বাড়ি আছে। আমি অন্তত ১০০টা ছবি দিতে পারি।’
আবাসের সমীক্ষার নামে তৃণমূল নেতারা দুর্নীতির পরিকল্পনা করেছেন বলে দাবি করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে যারা সমীক্ষা করতে যাচ্ছেন তাঁদের সঙ্গে তৃণমূলের চোর নেতারা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ৫০ ভাগের বেশি জায়গায় সার্ভে টিমের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে যে ১০টা নাম যদি তুলে দেও আমি ২০ হাজার টাকা করে মোট ২ লক্ষ টাকা তুলব। ১ লক্ষ তোমাদের সার্ভে টিমকে দেব ১ লাখ করে তৃণমূল নেতা রাখবেন। যিনি সব আয়োজন করেছেন। এত ভালো ব্যবসা অনেকদিন পরে এসেছে। সিবিআই, ইডি টাইট দেওয়ার পরে, ১০০ দিনের মালকড়ি বন্ধ হওয়ার পরে এই প্রথম। ঠিক দীপাবলি বাম্পারের মতো। কে ছাড়বে? তৃণমূলের চোররা ছাড়বে না কি?’
শুভেন্দুবাবুর দাবি, ‘আর সার্ভে টিম যারা গেছেন তাঁরা দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী একটা চোর, তার ভাইপো ডাকাত। মন্ত্রীরা জেলে। MLAরা পুকুরে মোবাইল ফেলছেন। তাই যা পারো লুটে নেও।’
বিরোধী দলনেতার পরামর্শ, ‘রাজ্যের মানুষকে বলব, এই আবাসের তালিকায় যত অযোগ্য লোকের নাম আছে মেইল করে বিডিওদের অভিযোগ জানিয়ে রাখুন। কারণ লিখিত অভিযোগ করলে বিডিওরা রিসিপ্ট কপি দেবে না। আমরা আপনাদের নিয়ে আদালতে যাব। রাস্তায়ও নামব। বিক্ষোভ করুন, কিন্তু আইন হাতে তুলে নেবেন না। এদেরকে আটকে রাখুন। কিন্তু চা - জল খেতে দেবেন।’