খাস কলকাতায় প্রোমোটারকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা, শুটআউটের অভিযোগ, তদন্তে পুলিশ
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৯ অক্টোবর ২০২৪
খাস কলকাতার সাতসকালে কার্যত গ্যাং ওয়ারের ঘটনা ঘটে গেল। নারকেলডাঙায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের জেরে চলল গুলি বলে অভিযোগ। তারপর যুবককে রাস্তার উপর ফেলে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা করা হল বলে অভিযোগ উঠেছে। এই উত্তেজনাকর ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন ছড়িয়ে পড়ল নারকেলডাঙার কাইজার স্ট্রিটে। মারাত্মক জখম যুবক এখন এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযুক্তরা চম্পট দিয়েছে। তদন্তে নেমেছে নারকেলডাঙা থানার পুলিশ। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই যুবককে রাস্তায় ফেলে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। তবে এখনও কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, গুরুতর জখম ওই যুবকের নাম ইমরান। এই যুবক পেশায় উঠতি প্রোমোটার। বয়স ২৬। নারকেলডাঙা নর্থ রোডের বাসিন্দা ইমরান। তাঁকে ভোররাতে কয়েকজন ডেকে পাঠায়। ওই ফোন পেয়েই ইমরান কাইজার স্ট্রিটে যায়। সেখানে গেলে তাঁকে প্রথমে প্রাণে মারার হুমকি দেয় চারজন দুষ্কৃতী। বচসা থেকে হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়। তারপর ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপালে রক্তাক্ত অবস্থায় ইমরান রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। গুলির শব্দ শুনতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। তখন তাঁরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন ইমরান। পুলিশে খবর দেন তাঁরা।
অন্যদিকে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন এবং ইমরানকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তাঁকে সেখান থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ইমরানের বাবা শেখ আবদুল সামাদ অভিযোগ করেছেন, অভিযুক্তদের সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। তাঁর ছেলেকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছিল। যদিও ওই গুলি ছেলের আঙুল ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। তখন তাঁকে রাস্তায় ফেলে কোপানো হয়। নারকেলডাঙা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে শুটআউটের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ইমরানের উপর হামলা চালায় চারজন দুষ্কৃতী।
এছাড়া তদন্ত শুরু করেছে লালবাজারও। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে জোরকদমে। হামলার ঘটনাস্থল থেকে শিয়ালদার ডিআরএম অফিস ঢিলছোড়া দূরত্বে অবস্থিত। এরকম গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় দুষ্কৃতীরা দাপট দেখাল কেমন করে? উঠছে প্রশ্ন। পুরনো শত্রুতার জেরে এই হামলা বলে পুলিশের অনুমান। তবে অভিযুক্তরা সকলেই পলাতক। তদন্তে নেমে তাদের খোঁজ চালাচ্ছেন পুলিশ কর্তারা। সাতসকালে প্রকাশ্য রাস্তায় এমন হিংসার ঘটনা আতঙ্কিত এলাকাবাসী।