শনিবার রাতে কলকাতায় এসে পৌঁছন শাহ। রবিবার সরকারি এবং দলীয় একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে রাতেই দিল্লি ফিরে যান তিনি। ঠাসা কর্মসূচি এবং সময়ের অভাব— এই দুই কারণেই আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি শাহ। দাবি করেছেন শান্তনু। তাঁর কথায়, ‘‘শাহের কর্মসূচিগুলিতে সময় অনেক কম ছিল। তাই ওই কর্মসূচি (নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ) করা সম্ভব হয়নি। আগামী দিনে তা হতে পারে। শাহ এসে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর যাওয়ার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু এত বেশি কাজ পড়ে যাওয়ায় যেতে পারেননি তিনি।’’ সাক্ষাৎ চেয়ে নির্যাতিতার বাবা-মায়ের লেখা চিঠির জবাবও দেননি শাহ। শান্তনু বলেন, ‘‘চিঠির উত্তর দেওয়া ওঁর নিজের ব্যাপার। আগামী দিনে দিতেও পারেন।’’
আরজি করের নির্যাতিতার মা-বাবা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন দেখা করতে চেয়ে। শাহের কলকাতা সফরে সেই সাক্ষাৎ হবে বলেও কোনও কোনও মহল থেকে বলা হচ্ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। যদিও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে সাক্ষাতের বিষয়ে কোনও সূচির কথা জানানো হয়নি। এমনকি, নির্যাতিতার বাবা-মা অথবা রাজ্য বিজেপি সাংগঠনিক ভাবেও এমন দাবি করেননি। তবে বঙ্গ বিজেপির কিছু নেতা সাক্ষাতের জল্পনা উস্কে দিয়েছিলেন।
গত শনিবার বেশি রাতে কলকাতায় এসে পৌঁছন শাহ। রাত্রিবাস করেন নিউ টাউনের একটি হোটেলে। রবিবার সকালে তিনি চলে যান বনগাঁয় বিএসএফের একটি অনুষ্ঠানে। সেখান থেকে নিউ টাউনের হোটেলে ফিরে কিছু ক্ষণের মধ্যেই চলে যান সল্টলেকের পূর্বাঞ্চলীয় সংস্কৃতি কেন্দ্র (ইজ়েডসিসি)-এ। সেখানে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানের আনুষ্ঠানিক সূচনা অনুষ্ঠানে ছিলেন শাহ। সেই কর্মসূচি শেষ হতেই সোজা বিমানবন্দর যান। সেখান থেকে দিল্লি। এই সফরের কোনও একটা সময়ে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে শাহের সাক্ষাৎ হতে পারে বলে মনে করছিল কোনও কোনও মহল। তবে তা হয়নি। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান, এমন কোনও কর্মসূচির কথা তাঁর জানা ছিল না। এ বার শান্তনু সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে সাক্ষাৎ না-হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করলেন।