আজ নিজের সংসদ এলাকায় এসে সেই বোতল কাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন কল্যাণ। তিনি বলেন, 'আপনাদের অনেকের মনে প্রশ্ন থাকতে পারে গত মঙ্গলবার কি এমন ঘটেছিল। জেপিসি মিটিং-এর কথা কিন্তু বাইরে বলা যায় না। যে পিসির চেয়ারম্যান এবং অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আমার বিরুদ্ধে অনেক মন্তব্য করেছেন ইউটিউবে এসেছে। তাই আমি জায়গাটাকে পরিষ্কার করে দিতে চাই। গত মঙ্গলবার নাসির বলে কংগ্রেসের এমপি আছে ওর সঙ্গে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কথা কাটাকাটি চলছিল। আমি বলেছিলাম অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে যে এত জোর চিৎকার করছেন কেন। এইটা বলার পরেই এমন ভাষায় গালিগালাজ দেয় আমি মুখে আনতে পারব না। আমার মাকে টেনে গালিগালাজ আমার বাবাকে টেনে গালিগালাজ দেয় আমার স্ত্রীকে পর্যন্ত গালিগালাজ দেয়। বাস্টার্ড পর্যন্ত বলেছে। কি বলেনি ও। হাইকোর্টের একটা বিচারক ছিল তার মুখের ভাষা কি! আমি যখন প্রতিবাদ করেছি তখন গালাগাল দিতে দিতে আমাকে বলে তোকে মারব।বলে মারতে এসেছে।এরকম একটা অবস্থা।'
কল্যাণ আরও বলেন, 'চেয়ারম্যান তখন ছিল না। চেয়ারম্যান যেহেতু বিজেপি তারপর ভেতরে ঢুকে আমার ওপরে হুরুম তুরুম শুরু করে।ওকে সফটলি কথা বলে আমাকে হার্টলি বলে। তখন ফার্স্টেটেড হয়ে গিয়েছি। প্রত্যেকদিন এরকম চলবে, প্রত্যেক দিন গালিগালাজ খাব এটা হয়! আমার হাতে জলের বোতল ছিল সেটাকে আমি টেবিলে ঠুকে দিই। হাতে রক্ত বেরিয়ে যাওয়ার পর আমি ছেড়ে দিই বোতলটা তখন রোল করতে করতে চলে যায়। ওরা অভিযোগ করে আমি নাকি বোতল-টোতল ছুড়েছি।আমি বোতল ছুরি নি। বোতল ছুঁড়লে আমার নিশানা পারফেক্ট হয়ে যায়। তার মাথাতেই লাগবে অন্য কোথাও লাগবেনা। তারপর আমাকে সাসপেন্ড করেছে। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সম্পর্কে সবাই জানে।' ডানকুনির কালিপুর চৌমাথা অধিবাসীবৃন্দের শ্যামাপুজোর উদ্বোধনে এসে এই মন্তব্য করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, গত ২২ অক্টোবর যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠক ছিল। সেদিন বৈঠকের দ্বিতীয় দিন ছিল। ওয়াকফ বিলের কার্যকলাপ সংশোধনী করার জন্য ৮ অগাস্ট কেন্দ্র সরকার একটি সংশোধনী বিল এনেছিল। সেই বিলটি পাঠান হয়েছে যৌথ সংসদীয় কমিটির কাছে। যেখানে লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদরা রয়েছে। সেই বৈঠক চলাকালীন সেখানে অশান্তি বাঁধে। সেখানেই তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বাদানুবাদ শুরু হয় বিজেপির সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।