• কালীপুজোর ঠিক আগে ফলের বাজার অগ্নিমূল্য! সাধারণ শশা বাতাবি লেবুও সাধ্যের বাইরে...
    ২৪ ঘন্টা | ৩০ অক্টোবর ২০২৪
  • বিমল বসু: আর এক দিন পরে কালীপুজো। তার আগে বসিরহাট  বাজারে চড়ল ফলের দামের পারদ। বসিরহাট নতুন বাজার, পুরাতন বাজার, মায়ের বাজার থেকে শুরু করে সর্বত্র একই ছবি। আগুন দাম ফলের। আনাজপত্রের দাম যেমন পুজো উপলক্ষে ঊর্ধ্বমুখী, তেমন আনাজের দামকে টেক্কা দিল ফলের দামও।

    এই সময় আপেল থেকে লেবুর দাম একটু কম থাকে ৷ কারণ ভিন রাজ্য থেকে এই সময়ে প্রচুর পরিমাণ আপেল লেবু-সহ শীতের বেশ কিছু ফল রাজ্যে ঢোকে। তবে কালীপুজোর জেরে সেই দামও এখন ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী।

    যে শশা দু'দিন আগেও বাজারে ৪০ টাকা প্রতি কেজি দরে দেদার বিকিয়েছে, সেই শশাই এখন ৭০ থেকে ৯০ টাকা প্রতি কেজি! আবার ৭০ টাকা ৮০ টাকা কেজি দরের আপেল এখন ১০০-র গণ্ডি পেরিয়ে প্রতি কেজির দাম ১২০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা। নাসপাতির দাম প্রায় ১২০ টাকার কাছাকাছি। যে-পেয়ারা কয়েকদিন আগেও ৫০ থেকে ৬০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হত, সেই পেয়ারা এখন ৯০ থেকে ১০০ টাকা। এসবের পাশাপাশি মুসম্বি লেবুর দামও চড়েছে। প্রতিটি লেবু ৭-৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। দাম বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ১২ থেকে ১৫ টাকা!

    কাঁঠালি কলার ডজন প্রায় ৮০ টাকা। বেদানার কেজি বেড়ে হয়েছে ২০০ টাকা। আতা আগে প্রতি কেজি ১০০ টাকা বিক্রি হলেও, তা বেড়ে ১৬০ টাকা হয়েছে। ছোট নারকেলের প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, বড় নারকেল ৬০ টাকা। শাঁকালু প্রতি কেজি ১৩০ টাকা। মাঝারি মাপের বাতাবি লেবুর দাম কিছু দিন আগেও ছিল ২০ থেকে ২৫ টাকা। তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়! 

    কালীপুজোর দুদিন আগে ফলের বাজারের এই আগুনে জেরবার সাধারণ মানুষ। ক্লাবকর্তা থেকে শুরু করে সাধারণ গৃহস্থ-- বাজার করতে গিয়ে সকলেই নাজেহাল। পুজোর বাজার করতে গিয়ে অতিরিক্ত টাকা খরচ হচ্ছে। তাই পরিমাণে রাশ টানছেন তাঁরা। এর ফলে আবার ক্ষতির মুখে পড়ছেন ছোটখাটো ফল ব্যবসায়ীরা।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)