ঘটনার বিবরণ জানতে চাওয়া হলে তিনি সাফ বলেন, 'কোনও ঘটনা ঘটেনি। ভদ্রমহিলা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আমি তাঁকে পরের দিন সকালে আসার কথা জানাই। সকাল ১০ টায় তিনি আসেন। ঘটনাচক্রে আমি তখন ঘুমোচ্ছিলাম। তারপর উঠে এসে চা হাতে ঘরে এসে বসি। ইন্টারভিউ দিই। পরের ইন্টারভিউয়ের জন্য কথা বলে তিনি বেরিয়ে যান। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, তিনি আমার বাড়ি থেকে বেরনোর সময় বেশ হাসিখুশি ছিলেন। ৩.৩০ টের সময় দেখি সেই ফেসবুক লাইভ।'
তন্ময় ভট্টাচার্য প্রশ্ন তোলেন, 'আমার ইন্টারভিউ ওই চ্যানেল কেন দেখাল না। ইন্টারভিউয়ের চার ঘণ্টা পর তিনি ফেসবুক লাইভ করেন। ফেসবুকে লাইভে তিনি বলেন যে, শ্লীলতাহানির পর তিনি ওই অবস্থাতেই ইন্টারভিউ নিয়েছেন। তাহলে ইন্টারভিউটা দেখাল না কেন। ইন্টারভিউটা দেখলেই তো সব সামনে এসে যাবে। কারণ সেটি দেখলেই বোঝা যাবে ওঁর বডি ল্যাঙ্গুয়েজ কী বলছে, আর আমার কী বলছে।'
তিনি আরও বলেন, 'ওই মহিলা আগের সংবাদমাধ্যমে থাকাকালীন আমার ১৫ টা সাক্ষাত্কার নিয়েছে। ১০ টা সাক্ষাত্কার আমার ফোনেই আছে। যার সঙ্গে আগে এত ইন্টারভিউ।' ওই মহিলা সাংবাদিক অভিযোগ তুলেছিলেন যে, আগে বহুবার তন্ময় ভট্টাচার্যের ব্যবহার অস্বস্তিকর লেগেছে। এই প্রসঙ্গে তন্ময় ভট্টাচার্য বলেন, 'আমার পরিবারের সকলে তাঁকে চেনে। মনোবিদ ডেকে এনে আমাকে আর ওই ভদ্রমহিলাকে সামনে আনুন।'
তন্ময়ের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ ওঠে যে, তাঁর করা মজা ওই মহিলা সাংবাদিক আর নিতে পারেননি। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'যদি তিনি অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে এতবার গিয়ে থাকেন। তাহলে তিনি কেন ক্যামেরাম্যানকে আগে থেকে ক্যামেরা চালু করার নির্দেশ দেননি। ১৫ টা ইন্টারভিউ নেওয়ার পর এই অভিযোগ তুলছে।'
সিপিএম প্রসঙ্গে তিনি বলেন:
'আমাদের দল শৃঙ্খলাবদ্ধ দল। আমি গর্বের সঙ্গে সিপিএম দল করে এসেছি। সিপিএমে ছিলাম। আমার কোনও কথা না শুনে দল সাসপেন্ড করেছে। আমার কথা না শুনে, দল আমাকে বেদনা দিয়েছে। আমার পরিবারের সম্মানহানি করা হয়েছে।'