• ইঞ্জেকশন দিয়ে অচৈতন্য রোগিনীর উপরে নারকীয় অত্যাচার ডাক্তারের, ভিডিয়ো তুলে...
    ২৪ ঘন্টা | ৩০ অক্টোবর ২০২৪
  • বিমল বসু: চিকিত্সকের কাছেই নিরাপদ নন রোগী। চিকিত্সা করাতে আসা গৃহবধূকে অচৈতন্য করে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল এক গ্রাম্য চিকিত্সকের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, ধর্ষণের ছবি তুলে গৃহবধূর কাছ থেকে বিপুল টাকা হাতিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ উঠল ওই চিকিত্সকের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ওই অভিযোগ উঠেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাসনাবাদের বরুনহাট গ্রামের এক গ্রাম্য চিকিত্সকের বিরুদ্ধে। ওই চিকিত্সককে গ্রেফতার করল পুলিস।

    গৃহবধূর স্বামীর অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী নূর আলম সর্দার নামে ওই চিকিত্সকের কাছে চিকিত্সা করাতে যান। তখন ওই চিকিত্সক বলেন, ইঞ্জেকশন নিতে হবে। স্ত্রী বলেন, ট্যাবলেট দিতে। কিন্তু চিকিত্সক বলেন ইঞ্জেকশন দিলে তাড়াতাড়ি রোগ সেরে যাবে। ওই কথা শুনে ইঞ্জেকশন নিতে রাজি হয়ে যায় স্ত্রী। ওই ইঞ্জেকশন নেওয়ার পর পর তার মাথা ঘুরতে থাকে। পরে জ্ঞান হারান। জ্ঞান ফিরলে দেখেন তাঁর শরীরে কোনও পোশাক নেই। এনিয়ে শোরগোল শুরু করে দেন তিনি।

    এদিকে, গৃহবধূ চিত্কার শুরু করতেই ওই চিকিত্সক তাকে বলেন, গোটা ঘটনার ভিডিয়ো তোলা রয়েছে। এনিয়ে হইচই করলে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো আপলোড করে দেওয়া হবে। এখানেই শেষ নয়, ওই ভিডিয়ো প্রকাশ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে প্রায় ৪ লাখ টাকা আদায় করা হয় গৃহবধূর কাছ থেকে। এমনটাই অভিযোগ গৃহবধূর স্বামীর। এর পরই পুলিসে অভিযোগ করেন ওই গৃহবধূ। হাসনাবাদ থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিস ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করে ও তার ডাক্তারখানা বন্ধ করে দেয়। আজ ওই চিকিৎসককে ৫ দিনের পুলিসি হেফাজত চেয়ে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)