দেবরাজের দাবি, বছর দুয়েক আগে তিনি স্থানীয় আয়া সেন্টার থেকে বাবলি মুখোপাধ্যায় নামে ওই পরিচারিকার খোঁজ পান। বাবলি তাঁদের বাড়িতে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কাজ করতেন। মায়ের শারীরিক পরিস্থিতির কথা ভেবে তার দেখভালের জন্য পরিচারকাকে রেখেছিলেন। কিন্তু সেই পরিচারকার হাতে মারধর খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তাঁর মা। দেবরাজের অভিযোগ, গত ২৫ অক্টোবর রাতে তাঁর মা শৌচাগারে যেতে চাইলে পরিচারিকা মায়ের চুলের মুঠি ধরে টেনে হিঁচড়ে বাথরুমে নিয়ে যেতে চান। বৃদ্ধা বাধা দিতে গেলে তাঁকে মারধর করা হয়। সঙ্গে গালিগালাজ করেন ওই পরিচারিকা। তিনি সে দিন রাতে কাজ থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন। তখন মাকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরে বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুরো ঘটনার কথা জানতে পারেন। প্রমাণ হিসাবে পুলিশের হাতে সিসিটিভি ফুটেজ তুলে দেবেন তিনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই বৃদ্ধা মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। তা ছাড়া শরীরের বেশ কিছু জায়গায় আঘাত লেগেছে তাঁর। অন্য দিকে, যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে পরিচারিকা দাবি করেছেন, এমন কিছুই ঘটেনি। তিনি বলেন, ‘‘ওঁদের বাড়িতে কাজ করছি। উনি আমার মায়ের মতো। উনি বাথরুম যেতে চেয়েছিলেন। আমি ওঁকে হাত ধরে খাট থেকে নামাই। তখন কোনও ভাবে টাল সামলাতে না পেরে দু’জনেই মেঝেতে পড়ে যাই। উনি সামান্য আঘাত পেয়েছিলেন। আমিই ওষুধ লাগিয়ে দিয়েছি। এর মধ্যে মারধরের অভিযোগ কেন উঠল জানি না।’’ অভিযোগ দায়ের প্রসঙ্গে কোতোয়ালি থানার পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে।