ভাঙড়ে শক্তি বৃদ্ধি তৃণমূলের, সায়নীর হাত ধরে ঘাসফুলে যোগ বহু ISF কর্মীর
হিন্দুস্তান টাইমস | ৩০ অক্টোবর ২০২৪
লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই ভাঙড়ে আইএসএফে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এর আগে বিভিন্ন সময়ে বহু কর্মী আইএসএফ ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তবে গত অগস্ট থেকে পরিস্থিতির কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। আরজি কর আবহে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেকটাই পাল্টেছে রাজ্যে। ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে শাসকদল। সেই আবহেও ভাঙড়ে তৃণমূলের শক্তি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফের আইএসএফ ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন বহু কর্মী। যাদবপুরের সাংসদ সায়নী ঘোষ ও ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লার হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করলেন আইএসএফের কয়েকশো কর্মী সমর্থক। সব মিলিয়ে আইএসএফের ৩০০ কর্মী তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা।
জানা গিয়েছে, রাজ্য জুড়ে এখন তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজয়া সম্মিলনী কর্মসূচি চালানো হচ্ছে। সেরকমই শনিবার তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীর কর্মসূচি ছিল ভাঙড়ে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সায়নী ঘোষ ও শওকত মোল্লা। তাদের উপস্থিতিতে মঞ্চে উঠে তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন আইএসএফ কর্মীরা। শওকত মোল্লা দাবি করেছেন, কয়েক’শ আইএসএফ কর্মী এদিন ওই সভায় তৃণমূলে যোগদান করেছেন। তাদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন সায়নী ও শওকত তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দেন। তৃণমূল সূত্রের খবর, এদিন যেসব আইএসএফ কর্মীরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তারা ভাঙড়ের শানপুকুর অঞ্চল ও পোলেরহাট ২ নম্বর অঞ্চলের। এদিন আইএসএফের সদস্যদের পাশাপাশি তৃণমূলে যোগ দেন জমি কমিটির সদস্যরাও।
শওকত মোল্লা এদিন বিজয়া সম্মিলনীর সভা থেকে আইএসএফে তীব্র আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, যেভাবে আইএসএফ থেকে দলে দলে কর্মী সমর্থকরা যোগ দিচ্ছেন তাতে আগামী দিনে আইএসএফের অস্তিত্ব থাকবে না। বিধায়ক বলেন, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত এভবেই আইএসএফের কর্মীরা তৃণমূলে যোগ দেবেন। আইএসএফ-কে তখন দূরবীন দিয়ে খুঁজতে হবে।
যদিও এর আগে বিভিন্ন সময়ে দলের কর্মীদের শাসক শিবিরে যোগ দেওয়া নিয়ে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি তৃণমূলকেই আক্রমণ করেছেন। তিনি বহু বার দাবি করেছেন, আইএসএফে কর্মীদের ভয় দেখানো হচ্ছে। ফলে তারা বাধ্য হয়ে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। তবে সেই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে পালটা নওশাদকে কটাক্ষ করেন শওকত। তিনি বলেন, মানুষ আইএসএফে চায়না, তৃণমূলকে চায়। ভোটের ফলে সেটা আরও স্পষ্ট হয়ে যাবে। নওশাদকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘ওর মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে তাই ওর কথায় গুরুত্ব না দেওয়ায় ভালো।