দক্ষিণ দিনাজপুরে একটি মন্দিরে প্রচুর পশু বলি দেওয়া হয়। আর সেই পশু বলি বন্ধের আবেদন জানিয়ে একটা জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। বিখ্যাত বোল্লা কালী মন্দিরের পশু বলি নিয়ে আপত্তি তুলেই মামলা হাইকোর্টে। আর সেই মামলার শুনানিতে আদালতের পর্যবেক্ষণ এটা খুবই বিতর্কের যে পৌরানিক যে চরিত্রগুলি রয়েছে তাঁরা ভেজ নাকি নন ভেজ। তাঁরা সবাই নিরামিষ খান নাকি তাঁরা আমিষ খান।এটা নিয়ে রীতিমতো বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এদিকে প্রতি নভেম্বর মাসে ওই মন্দিরে অন্তত ১০ হাজার পশু বলি দেওয়া হয়। সেই বলি বন্ধেই আবেদন আদালতে।
এদিকে হাইকোর্ট সেই মামলা পাঠিয়েছিল প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে। সেই বেঞ্চে বিচারপতি বিশ্বজিত বাসু, বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তা ছিলেন। আর এই পর্যবেক্ষণ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বাসুর। এই যে পশুবলি প্রথা এটা কি পুজোর আবশ্যিক অঙ্গ। এটা নিয়েই বিচার।
অখিল ভারতীয় কৃষি গো সেবা কেন্দ্র এই মামলা করেছে। তাদের আবেদন অ্যানিমাল ওয়েলফেয়ার বোর্ড অফ ইন্ডিয়াকে কোর্ট নির্দেশ দিক যাতে মন্দিগুলিতে এই ভয়াবহ বর্বরতা না হয়।
আদালত প্রশ্ন করেছিল সব মন্দিরেই কি এটা তাঁরা চাইছেন? তবে আবেদনকারী জানিয়েছেন শুধু দক্ষিণ দিনাজপুরের ওই মন্দিরে। তবে আদালত জানিয়েছে, সেকশন ২৮কে চ্যালেঞ্জ করার দরকার নেই কারণ এই বলিদান সেটা কালীপুজো বা অন্য পুজোর একেবারে আবশ্য়ক অঙ্গ নয়। অনেক সময় খাদ্যাভাসের উপর এটা নির্ভর করে।
এখানে মূলত দক্ষিণ দিনাজপুরের বোল্লা কালী মায়ের মন্দিরের কথা বলা হয়েছে। আসলে ব্রিটিশ পিরিয়ডে এটা শুরু হয়েছিল। ব্রিটিশরা এক জমিদারকে ধরেছিল। এরপর এক শুক্রবার তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। তারপর থেকেই এই প্রথা। আইনজীবীর দাবি এই বলিপ্রথাকে যেন একান্ত প্রয়োজনীয় না করা হয়।
তবে বেঞ্চ অন্তর্বর্তীকালীন কোনও নির্দেশ দেয়নি। এটা প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে রেফার করা হয়েছে।
তবে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত রাজ্যের তরফে ছিলেন। তিনি বলেন, এটা কি জনস্বার্থ মামলা বলা যাবে? কারণ এখানে তো এক্সের সঙ্গে ওয়াইয়ের মামলা। এখানে পাবলিক এল কোথা থেকে?