• মোদীর কথায় কষ্ট পেলেন দেবাংশু, আয়ুষ্মান আর স্বাস্থ্যসাথীর ফারাক নিয়ে ক্লাস শুরু
    হিন্দুস্তান টাইমস | ৩০ অক্টোবর ২০২৪
  • এবার আয়ুষ্মান ভারত ও স্বাস্থ্যসাথীর ফারাক নিয়ে ক্লাস নিলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, আমার হৃদয় অত্যন্ত ভারাক্রান্ত যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলার মানুষের সঙ্গে মিথ্য়ে কথা বলছেন। আয়ুষ্মান ভারতে একাধিক লাল ফিতের ফাঁস রয়েছে। নানা ধরনের ব্যাপার রয়েছে। এটা রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হয়। এরপর তিনি তিনটি পয়েন্টের পাশে লাল দিয়ে কাটা দাগ দিয়েছেন।

    অন্য়দিকে স্বাস্থ্যসাথীর কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। সেখানে তিনি লিখেছেন, ১০০ শতাংশ স্টেট ফান্ডেড। অর্থাৎ রাজ্য সরকারের অর্থে পুষ্ট, বাংলার মানুষের জন্য ১০০ শতাংশ কভারেজ মেলে। ফ্রি স্মার্ট কার্ডও মেলে সবার জন্য। সেই সঙ্গেই তিনি লিখেছেন, ফারাকটা খুব স্পষ্ট। বাংলা পথ দেখাচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে শুধুই পিছিয়ে পড়ছে। লিখেছেন দেবাংশু।

    তবে দেবাংশুর এই পোস্টের পরে নানা জনে নানা মন্তব্য করছেন। এক নেটিজেন একেবারে দুটি স্কিমের ফারাক কতটা তা বোঝানোর জন্য় কত টাকা বরাদ্দ হয় এই দুটি স্কিমে একটি দেশের জন্য় আর একটি রাজ্যের জন্য সেটা উল্লেখ করে দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, আয়ুষ্মান ভারত স্কিমের বাজেট বরাদ্দ ৭২০০ কোটি টাকা। এটা ২০২৪-২৫ এর জন্য এই বরাদ্দ গোটা দেশের জন্য। আর পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য বাজেটে ২০২৪-২৫ সালে বরাদ্দ ২০,০৫২ টাকা। বাংলার স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় বরাদ্দ অনেকটাই বেশি। রাজ্যের প্রতিটি নাগরিক যাতে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে নানা সুযোগ সুবিধা পায় তার জন্যই এই ব্যবস্থা।

    তবে এর বিরুদ্ধ মতও রয়েছে। যেমন এক নেট নাগরিক লিখেছেন, স্বাস্থ্যসাথী দিয়ে কিছু হবে না। এটা দিয়ে কি বাংলার বাইরে চিকিৎসা করাতে পারব? আমরা বাংলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জানি। পুরোপুরি দুর্নীতিগ্রস্ত। যদি আয়ুষ্মান ভারত খারাপ হত তবে অবিজেপি রাজ্য যেমন ঝাড়খণ্ড, আগের ওড়িশা, পাঞ্জাব সহ অন্যান্য রাজ্য এটা আগেই প্রয়োগ করে ফেলত।

    কিন্তু কেন আচমকা এই আয়ুষ্মান ভারত ও স্বাস্থ্য সাথী নিয়ে এই ফারাক বোঝানোর প্রসঙ্গ টানছেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    আসলে তার নেপথ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একটি বক্তব্য।

    মঙ্গলবার নয়াদিল্লি থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ের 'আয়ুষ্মান ভারত যোজনা'-র উদ্বোধনের সময় মোদী জানান, পুরো দেশে ‘আয়ুষ্মান ভারত যোজনা’ চালু করা যায়নি। কারণ নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে দিল্লিতে আম আদমি পার্টির সরকার এবং পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার সেই প্রকল্প চালু করতে দেয়নি।

    মোদী বলেন, ‘দিল্লি এবং পশ্চিমবঙ্গে সত্তরোর্ধ্ব যত প্রবীণ মানুষ আছেন, তাঁদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি - আমি আপনাদের সেবা করতে পারব না। আমি ওঁদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আমি তো জানতে পারব যে আপনারা কষ্টের মধ্যে আছেন, আমি খবর তো পাব। কিন্তু আমি আপনাদের সহায়তা করতে পারব না। কারণ দিল্লিতে যে সরকার আছে এবং পশ্চিমবঙ্গে যে সরকার আছে, তারা এই আয়ুষ্মান প্রকল্পে যুক্ত হচ্ছে না।’
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)