আরজি করে মিলেছিল রক্তমাখা গ্লাভস? তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের পরে বার বার এনিয়ে সরব হয়েছিলেন চিকিৎসকদের একাংশ। এনিয়ে বিতর্ক কিছু কম হয়নি। তবে এবার সেই গ্লাভসের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট সামনে এসেছে। তাতে দাবি করা হয়েছে, সেই গ্লাভসে রক্ত ছিল বলে যে দাবি করা হয়েছিল সেটা আদৌ রক্ত নয়। তা কোনও রাসায়নিকের বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। তবে তার আরও গভীরভাবে পরীক্ষার জন্য ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হচ্ছে।
মঙ্গলবার ল্যাবে পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে জানিয়েছেন আরজি করের প্রিন্সিপাল সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্য়ায়। তবে তিনি একথা বলার পরেই কার্যত চিকিৎসকের একাংশের বিরুদ্ধে নেমে পড়ল তৃণমূল।
তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ এনিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন। তিনি রীতিমতো এনিয়ে ডাক্তারদের একাংশকে তুলোধোনা করেছেন। তিনি লিখেছেন, আরজিকরে ডাক্তারদের ব্যবহারের গ্লাভসে রক্ত লেগে ছিল না। ওটা অন্য ফ্লুইডের দাগ।
প্রকাশ্যে এল পরীক্ষার রিপোর্ট।
এ নিয়ে বাজার গরম করা একাংশের ডাক্তার, মিডিয়া, ব্রেকিং নিউজ, ফেস বুক বিপ্লবীরা কী বলছেন??????
তবে এই রক্তমাখা গ্লাভসের কথা উল্লেখ করে বেশ কিছুদিন ধরেই সোশ্য়াল মিডিয়ায় নানা কথা লেখা হয়েছিল। এমনকী চিকিৎসকদের একাংশ হাসপাতালে জং ধরা কাঁচির মতোই অব্যবস্থার নজির হিসাবে এই রক্তমাখা গ্লাভসের কথা তুলে ধরেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত পরীক্ষার যে রিপোর্ট এসেছে তাতে চোখ কপালে অনেকের। সেক্ষেত্রে না জেনে এই ধরনের দাবি করাটা কতটা যুক্তিযুক্ত ছিল তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
সূত্রের খবর, সপ্তাহ তিনেক আগে আরজি করে ট্রমা কেয়ারে কর্মরত এক ইন্টার্ন অভিযোগ করেছিলেন চিকিৎসা করার সময় তিনি ওই গ্লাভসগুলি দেখতে পান। ওইদিন সকালে একজন এইচআইভি রোগীর রক্ত নেওয়ার জন্য তিনি গ্লাভস নিয়েছিলেন। পরে প্যাকেট থেকে বের করতে গিয়ে তিনি দেখেছিলেন তাতে রক্তের দাগ। প্রথমদিকে তিনি ভেবেছিলেন হয়তো কোনও কারণে রক্ত লেগে রয়েছে। এরপর সেই গ্লাভসটা ফেলে দিয়ে তিনি অন্য একটি নিতে যান। সেখানেও দেখেন একই ধরনের ব্যাপার। সেই সময় নার্স জানিয়েছিলেন সকালেই এই প্যাকেটটা খোলা হয়েছিল। তারপরই এনিয়ে হই চই পড়ে যায়। পরে এনিয়ে বার বারই অভিযোগ তুলছিলেন অনেকে। সেটাকে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু রিপোর্ট বলছে তাতে রক্ত ছিল না। এরপরই আসরে নেমে পড়লেন তৃণমূল নেতৃত্ব।