মণ্ডপের ভেতরে প্রবেশ করলেই এক্কেবারে দক্ষিণ বঙ্গের সেই গঙ্গার ভেতর দিয়ে মেট্রো চড়ার আসল অনুভূতি পাবে দর্শনার্থীরা। রয়েছে প্ল্যাটফর্ম ও বসার জায়গা, চলমান সিড়ি, রুট চার্ট। সেই প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনে চেপে জলে ভাসমান অবস্থায় প্রতিমার দর্শন করা যাবে। মেট্রোতে রয়েছে বাতানুকূল পরিবেশ। ২৮টি এসি থাকছে কামরায়। জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের দেবীনগরেরর মিলপাড়ায় ক্লাবের পুজো মণ্ডপ তৈরির শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। মেট্রোর সিটে বসার ব্যবস্থা থেকে শুরু করে কামরার ঝুলে থাকা হাতল ধরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে যাওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। প্রত্যেক বছরই উত্তরবঙ্গের অন্যান্য বিগ বাজেটের কালীপুজোগুলির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পুজো করে ময়নাগুড়ির জাগরণী ক্লাব। এবার ৪৮ বছর বসে পদার্পণ করল এই ক্লাবের পুজো। গঙ্গার নীচ দিয়ে চলা মেট্রো, এই অভাবনীয় নিখুঁত মণ্ডপ তৈরির মূল কারিগর কলকাতার বিশিষ্ট শিল্পী সুবল পাল। চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জার দায়িত্বে রয়েছে চন্দননগরের শিল্পীরা। প্রতিমা নিয়ে আসা হয়েছে কুমোরটুলি থেকে। আগামী বৃহস্পতিবার কালীপুজো। তাই রাত জেগে চলছে মণ্ডপের কাজ।
মূলত, প্লাই, কাঠের বাটাম, ওয়ালপেপার, লোহা, বিভিন্ন ধরনের বোর্ড-সহ নানান সামগ্রী ব্যবহার করে তৈরি হয়েছে এই পুজো মন্ডপ। মণ্ডপে আসা দর্শনার্থীরা নিজেরাই জানালা দিয়ে দেখতে পাবেন যে তাঁরা গঙ্গার নীচ দিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি ট্রেনের আওয়াজ থেকে শুরু করে নদীর জলের আওয়াজ সমস্ত কিছুই দর্শনার্থীরা অনুভূত করতে পারবেন। এবার রেকর্ড ভিড় হবে বলেই আশাবাদী ক্লাব কর্তৃপক্ষ। দর্শনার্থীদের ভিড় সামলাতে সমস্ত বন্দোবস্ত রাখা হয়েছে। ক্লাব কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্লাবের তরফে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক এর পাশাপাশি পুলিস প্রশাসনের নজরদারি থাকবে মন্ডপ চত্বর জুড়ে। আপাতত গঙ্গার নিচে দিয়ে মেট্রো চড়ার অনুভূতি নেওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছে জলপাইগুড়িবাসী।