• সামান্য বৃষ্টিতেই রেলের আন্ডারপাসে জল জমে, ভোগান্তি এলাকাবাসীদের
    বর্তমান | ৩০ অক্টোবর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: সামান্য বৃষ্টিতেই নবদ্বীপ বাবলারির রেলের আন্ডারপাসে জল জমে যায়। দুই জেলার আন্ডারপাস ব্যবহারকারী মানুষের ভোগান্তি চরমে ওঠে। রেল কর্তৃপক্ষ সাময়িক জল সরিয়ে দিলেও তাতে সমস্যা পুরোপুরি মেটে না। ফের বৃষ্টি হলে একই অবস্থা সৃষ্টি হয়। জমা জলের দুর্ভোগ আদৌ কোনওদিন মিটবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান স্থানীয় বাসিন্দারা। আন্ডারপাসে জল বাড়লেই লোহার চেন দিয়ে রাস্তা আটকে দিতে হয় রেল কর্তৃপক্ষকে। 

    স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাবলারির রেলের আন্ডারপাসটি নির্মাণ করার সময়  যথাযথ নিকাশি ব্যবস্থাই  তৈরি হয়নি। আন্ডারপাসের ভিতর দু’ দিকে নির্দিষ্ট ড্রেন নেই। রাস্তাটি নিচু। দুই প্রান্তের রাস্তার ঢাল বেয়ে মাঝখানে এসে জল জমা হয় । ওই জল বের হওয়ার জন্য ছোট্ট একটা গর্ত পাশের দেওয়াল থেকে কাটা রয়েছে। সেই গর্ত দিয়ে যদিও বা জল বের হতো, কিন্তু বাইরের দিকে সেই গর্তের মুখ আটকে থাকায় জল জমে যাচ্ছে। ওই স্থানে দেওয়ালে নির্দিষ্ট ফোন নম্বর দেওয়া আছে। সেই নম্বরে ফোন করলে তবেই পাম্প চালু হয়। তখন জল বের হয়। কিন্তু কেন পাম্পের ব্যবহার করতে হবে, এলাকাবাসীদের প্রশ্ন। নির্দিষ্ট ওই আন্ডারপাসে আগে থেকেই পরিকল্পিতভাবে নিকাশি ব্যবস্থা তৈরি করা হল না কেন ? জানা গিয়েছে, নির্মাণের সময় অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে কার্পণ্য করেননি রেল কর্তৃপক্ষ। তাহলে মূল সমস্যা কোথায়? আন্ডারপাসের নকশাতেই, নাকি নির্মাণকারীর অবহেলায়।  

    বাবলারির বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী কার্তিক রাহা বলেন, নদীয়ার বাবলারি থেকে পূর্ব বর্ধমানের শ্রীরামপুর যেতে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ এই আন্ডারপাস ব্যবহার করেন। সামান্য বৃষ্টি হলে জল জমে যায় ওই আন্ডারপাসে। তখন মানুষ পায়ে হেঁটেও যেতে পারে না। এক বুক জল জমে থাকায় বছর দুয়েক আগেই মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। আগে এই রাস্তায় রেল গেট ছিল। তখন দিনরাত মানুষ যাতায়াত করত। এখন রেলগেট উঠিয়ে আন্ডারপাস করলেও জল জমে থাকার জন্য মানুষ যাতায়াত করতে চায় না। আমাদের বাবলারি অঞ্চলের মানুষের যাতায়াত প্রায় বন্ধ। পূর্ব বর্ধমানের শ্রীরামপুরের লোকজন ব্যবসা বাণিজ্য এবং হাসপাতালে যাওয়ার জন্য এখন আর এই রাস্তা ব্যবহার করতে চান না। 
  • Link to this news (বর্তমান)