সিউড়ি হাসপাতালে দুর্গাপুজোর আগে থেকে বন্ধ ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান
বর্তমান | ৩০ অক্টোবর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: দুর্গাপুজোর আগে থেকে সিউড়ি সদর হাসপাতালের ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান বন্ধ হয়ে গিয়েছে। রোগীরা ওষুধ না পেয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। কেন দোকান বন্ধ সেব্যাপারে নির্দিষ্ট কোনওকিছু জানানো হচ্ছে না। ফলে রোগীরা ভোগান্তিতে পড়ছেন। বাধ্য হয়ে বাইরে থেকে চড়া দামে তাঁদের ওষুধ কিনতে হচ্ছে। কবে এই দোকান খুলবে সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন প্রত্যেকে। খুব শীঘ্রই দোকানটি পুনরায় খোলা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর।
ন্যায্যমূল্যের দোকানে সমস্ত ওষুধ মেলে না বলে এমনিতেই মানুষজন ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একেবারে হাতে গোনা কয়েকটি ওষুধই কেবল রাখা হয়। বেশিরভাগটাই কিনতে হয় বাইরে থেকে। তবুও যে কয়েকটি অতি প্রয়োজনীয় ওষুধ মেলে তা সুলভ মূল্যে কিনতে পারেন রোগীরা। এতে রোগী ও পরিজনদের কিছুটা সুরাহা হয়। সেকারণেই মুখ্যমন্ত্রী জেলা হাসপাতাল থেকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সব জায়গায় একটি করে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান খোলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সিউড়ি সদর হাসপাতালেও দীর্ঘদিন ধরে এই ন্যায্য মূল্যের দোকানটি চলছে। কিন্তু দুর্গাপুজোর ক’দিন আগে থেকে দোকানের শার্টার নামানো। কারও দেখা নেই। রোগীরা দোকানের সামনে প্রেসক্রিপশন নিয়ে এলেও তা বন্ধ দেখে ফিরে যাচ্ছেন। সোমবার দুপুরে পারভিন সুলতানা নামে এক রোগিণী ওষুধ কিনতে এসে দোকান বন্ধ রয়েছে দেখেন। তিনি বলেন, আমি তো বন্ধ রয়েছে বলে জানতাম না। আমাদের মতো গরিব রোগীরা এবার কোথায় যাবে? বাইরে থেকে কিনলে কোনও ছাড় পাওয়া যায় না। কবে খুলবে তাও জানি না। এক মাস পর আবার আসব। সেদিন আশা করি খুলে যাবে।
রোগীর আত্মীয়রা দাবি তুলছেন, ন্যায্য মূল্যের ওষুধ দোকানে আরও কিছু জীবনদায়ী প্রয়োজনীয় ওষুধ রাখা হোক। যাতে ডাক্তারবাবুরা লিখে দিলে এখান থেকেই সবকিছু মিলে যায়। ডাক্তারবাবুদের সঙ্গে আলোচনা করে ওষুধ রাখলে রোগীদের সুবিধা হয় বলে মনে করছেন তাঁরা। দ্রুত ওষুধের দোকান খোলার দাবি তুলেছেন রোগীর পরিজনরা। বীরভূম স্বাস্থ্যজেলার সিএমওএইচ হিমাদ্রি আড়ি বলেন, পুরনো টেন্ডার যাঁরা পেয়েছিলেন তাঁরা ছেড়ে দিয়েছেন। দোকান চালানোর জন্য নতুন করে টেন্ডার দেওয়া হয়েছে। নতুন করে যাঁরা পেয়েছেন তাঁদের ওষুধপত্র জমা করতে সময় লাগছে বলে শুনেছি। অতি দ্রুত তা খোলার জন্য নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। রোগীরা যাতে ঘুরে না যান তা দেখতে হবে।