২০ হাজারের বেশি লিড চাই মেদিনীপুরে বার্তা জয়প্রকাশের
বর্তমান | ৩০ অক্টোবর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, শালবনী: মেদিনীপুর বিধানসভার উপ নির্বাচনে লিড ২০ হাজারের বেশি করার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে তৃণমূল। দলের হাই কম্যান্ডের নির্দেশে ভোট পর্যবেক্ষণে এসে তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার কর্মীদের উদ্দেশ্যে এই বার্তা দেন। একইসঙ্গে এদিন কর্মী সমর্থকদের দ্বন্দ্ব ভুলে একসঙ্গে চলার বার্তা দিয়েছে দলীয় নেতৃত্ব। মঙ্গলবার শালবনী ব্লকের কর্ণগড় পঞ্চায়েত এলাকায় বিশেষ বৈঠক করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। উপস্থিত ছিলেন জয়প্রকাশবাবু ছাড়াও তৃণমূল প্রার্থী সুজয় হাজরা, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ, বিধায়ক দীনেন রায়, রাজ্যের মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাত সহ প্রথম সারির নেতৃত্ব। এদিন তৃণমূলের কর্মিসভায় ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। তৃণমূল নেতৃত্বের কথায়, শহর এলাকার পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকাতেও দলীয় কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক দ্বন্দ্ব রয়েছে। তাঁদের এক সুতোয় বাঁধতে হাই কম্যান্ডের নির্দেশে অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের মাঠে নামানো হচ্ছে।
এদিন কর্ণগড় পঞ্চায়েত এলাকার তৃণমূল কর্মী স্বপন মণ্ডল বৈঠক শেষে বলছিলেন, জয়প্রকাশবাবু কর্মীদের একসূত্রে বাঁধার চেষ্টা করছেন। ভোটের পর দ্বন্দ্ব থাকুক। কিন্তু ভোটের সময় একসঙ্গে লড়াইয়ের বার্তা দেওয়া হয়েছে। এতে বরফ অনেকটাই গলবে বলে মনে করছি। সব এলাকায় কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক কোন্দল। সেটাই ভয়ের বিষয়। এদিন জয়প্রকাশবাবু বলেন, ভোটের সময় সকলকে একসঙ্গে চলতেই হবে। এটাই নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই জনসভা না করে, কর্মী বৈঠক করা হয়েছে। দুপুরে পুর এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকেও একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে জনসংযোগ বাড়ানোর বার্তা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচনে ২০ হাজারের বেশি লিড নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে জেলা নেতৃত্বের উপর।
প্রসঙ্গত, ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে উপ নির্বাচনকে বিশেষ প্রস্তুতি হিসেবে দেখছে তৃণমূল নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই উপ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। তৃণমূলের উচ্চ নেতৃত্বের সিদ্ধান্তেই ৬টি বিধানসভা উপ নির্বাচন এলাকাতেই অভিজ্ঞ নেতাদের পাঠানো হচ্ছে। জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর বিধানসভার উপ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার জন্য পাঠানো হয়েছে জয়প্রকাশ মজুমদারকে। তার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য, একদিকে বিধানসভা এলাকায় দলের অন্দরে গোষ্ঠী কোন্দলে রাশ টানা। অপরদিকে ভোটে জয়ের মার্জিন আরও বাড়ানো।
এদিন এক তৃণমূল নেতা বলেন, তৃণমূলের শত্রু তৃণমূল। লোকসভা ভোটের সময়েও গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। একইসঙ্গে ভোটের কঠোর লড়াইয়ের সময় সাংসদ জুন মালিয়ার সঙ্গেও ছিলেন না দলের একাংশ। যা তৃণমূলের কাছে বেশ অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
তবে ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটে গোষ্ঠী কোন্দল কমাতেই ঢেলে সাজানো হচ্ছে বুথ স্তরের সংগঠন। এছাড়া ভোটে কর্মীদের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হচ্ছে। এতে কোন্দল কমছে। এদিন জেলা বিজেপির মুখপাত্র অরূপ দাস বলেন, গোষ্ঠী কোন্দলের মধ্য দিয়েই তৃণমূলের পরিচিতি। মানুষের পাশে থাকা বা উন্নয়ন করে তৃণমূলের পরিচিতি নেই। মানুষ সবই বুঝতে পারছে। বিজেপি প্রার্থী বিপুল ভোটে জিতবে।-নিজস্ব চিত্র