৫০ তম বর্ষে কাল্পনিক মন্দিরের আদলে মণ্ডপ বিধান সঙ্ঘের
বর্তমান | ৩০ অক্টোবর ২০২৪
সংবাদদাতা, লালবাগ: বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া পদ্মাপাড়ের প্রাচীন জনপদ লালগোলা। এখানে দুর্গাপুজোর চেয়ে কালীপুজোর জাঁকজমক ও জৌলুস অপেক্ষাকৃত বেশি। একাধিক বিগ বাজেটের পুজো হয়। তারমধ্যে অন্যতম লালগোলা থানা লাগোয়া বিধান সঙ্ঘের কালীপুজো। চলতি বছরে এই ক্লাবের পুজো ৫০বছরে পা দিল। কাল্পনিক মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি হয়েছে। মণ্ডপের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে পুজোর উদ্বোধন করবেন স্থানীয় বিধায়ক মহম্মদ আলি। ৪ নভেম্বর কলকলি নদীতে দেবীকে বিদায় জানানো হবে।
১৯৭৫ সালে স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী অসীমকুমার ঘোষ, হরিরাম আগরওয়ালা, প্রিন্স জৈন, মনোজ জৈনদের হাত ধরে বিধান সঙ্ঘ ক্লাবের শক্তি আরাধনা শুরু হয়। শুরু থেকেই জেলাবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে আসছে এই পুজো। প্রতিবারই প্রতিমা থেকে আলোকসজ্জায় চমক থাকে। ফলে পুজো উপলক্ষ্যে কয়েকটা দিন বিধান সঙ্ঘের মণ্ডপে দর্শনার্থীদের ভিড় উপচে পড়ে। গত ৩০ বছর ধরে সমীর ঘোষ, সুদীপ্ত ঘোষ, দেবজিৎ ভট্টাচার্যরা দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে পুজো পরিচালনা করে আসছেন। তবে গত এক বছরে ক্লাবের দুই সক্রিয় সদস্য উমেশ সাহা ও দেবজিৎ ঘোষের অকাল মৃত্যু হওয়ায় ক্লাবের অন্যান্য সদস্যরা এখনও শোকের পরিবেশ থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি। ফলে এবছর একপ্রকার অনাড়ম্বরভাবে পুজো হচ্ছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ বিভিন্ন কর্মসূচি বন্ধ রাখা হয়েছে। পুজো কমিটির সম্পাদক অজয় ঘোষ বলেন, বিধান সঙ্ঘের পুজোর সুনাম রয়েছে। প্রতিমা, মণ্ডপ ও আলোকসজ্জায় প্রতি বছর চমক থাকে। লালগোলার পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীদের ভিড় উপচে পড়ে। ভিড় সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। তবে গত এক বছরে আমরা ক্লাবের দুই সক্রিয় সদস্যকে হারিয়েছি। তাই নিয়ম মেনে মায়ের পুজো হলেও জাঁকজমকে রাশ টানা হয়েছে। প্রতি বছর তিন চারদিন ধরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ বিভিন্ন কর্মসূচি থাকে। এবছর সেগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে। মাকেও খুব অনাড়ম্বের মধ্যে বিদায় জানানো হবে। আর এক উদ্যোক্তা সুদীপ্ত ঘোষ বলেন, দেবজিৎ একা হাতে পুজোর সমস্ত দেখভাল করত। ওর হাতে দায়িত্ব দিয়ে আমরা নিশ্চিন্ত থাকতাম। নিজস্ব চিত্র