ঝাড়গ্রামের মানিকপাড়া রামকৃষ্ণ স্পোর্টিং ক্লাবের কালীপুজোয় এবার ৭ দিনের মেলা
বর্তমান | ৩০ অক্টোবর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্ৰাম: ঝাড়গ্ৰামের মানিকপাড়া রামকৃষ্ণ স্পোর্টিং ক্লাব ও পাঠাগারের সর্বজনীন কালীপুজো সম্প্রীতির নজির গড়েছে। হিন্দু ও মুসলিম সদস্যদের যৌথ উদ্যোগে এই পুজো হয়। এবছর থেকে মেলার আয়োজন করা হয়েছে। সাতদিন ধরে মেলা চলবে। উৎসবের আনন্দে সব ধর্মের মানুষ শামিল হবেন।যত মত তত পথ। ঠাকুর রামকৃষ্ণের এই ভাবাদর্শকে সামনে রেখে ১৯৮৪ সালে ক্লাবের প্রতিষ্ঠা হয়। এবছর পুজো ৪০বছরে পদার্পণ করল। এবারও ধূমধাম করে ক্লাবের পুজো হচ্ছে। এবার সাতদিনের মেলার আয়োজন করা হয়েছে। থাকছে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আগামী বৃহস্পতিবার পুজোর উদ্বোধন করা হবে। মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা পুজোর উদ্বোধন করবেন। এলাকার বিশিষ্টরাও উপস্থিত থাকবেন। নৃত্যানুষ্ঠান, ঝুমুর গানের আয়োজন করা হয়েছে। মিউজিক্যাল ট্রুপ, ডান্স ট্রুপ, বাংলা ব্যান্ডের অনুষ্ঠানও রয়েছে।
ক্লাবের সভাপতি তারকনাথ ঘোষ বলেন, ঠাকুর রামকৃষ্ণের ভাবাদর্শে ক্লাবের সূচনা হয়েছিল। প্রণম্য স্বামী ভবানন্দ ক্লাবকে জমি দান করেছিলেন। সেই জমিতেই ক্লাবঘর তৈরি হয়। দীর্ঘ ৪০বছর ধরে আমাদের কালীপুজো হয়ে আসছে। ক্লাবের তরফে ঈদ উপলক্ষ্যে যেমন অনুষ্ঠান করা হয় তেমনই কালীপুজো করা হয়। হিন্দু, মুসলমান সকল সম্প্রদায়ের মানুষ এই ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত। পুজো ও মেলার আয়োজনে প্রায় দু’লক্ষ ৬০হাজার টাকা খরচ হচ্ছে।
ক্লাবের সদস্যরা পুজো ও মেলার দায়িত্ব সামলাবেন। ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ শেখ মনতাজ আলি বলেন, আমরা হাতে হাত মিলিয়ে পুজো ও অন্যান্য অনুষ্ঠানে যুক্ত থাকি। সারা বছর ধরে এলাকার মানুষের বিপদে আপদে পাশে দাঁড়ানো হয়। স্থানীয় ছেলেমেয়েদের বিনামূল্যে নৃত্য ও আবৃত্তির প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ক্লাবের সম্পাদক রাজু বেরা বলেন, এবার পুজোর সঙ্গে মেলাও হচ্ছে। সেজন্য ক্লাবের সদস্যদের বাড়তি দায়িত্ব নিতে হচ্ছে। অন্যবারের তুলনায় বহু মানুষের আগমন হবে। ক্লাবের স্বেচ্ছাসেবকরা ভিড় সামলানোর দায়িত্ব সামলাবেন। জেলা পুলিসের কাছেও বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। পুজো ও মেলা সুষ্ঠুভাবে করাই আমাদের লক্ষ্য।-নিজস্ব চিত্র