থানা স্থানান্তরের ইতিহাস জুড়ে চাঁচল মহিলা আবাসন কমিটির কালীপুজোয়
বর্তমান | ৩০ অক্টোবর ২০২৪
উজির আলি, চাঁচল: আলোর রোশনাইয়ে ভরে উঠবে আকাশ জমিন। তবে আইনের রক্ষকদের কাছে উৎসবের আনন্দটা যেন একটু বেশিই। কারণ থানায় থানায় কালীপুজোর প্রচলন রয়েছে। একইভাবে চাঁচল থানার কালীপুজোর সঙ্গে জড়িয়ে ইতিহাস ও ঐতিহ্য। এই থানার স্থানান্তরের মধ্যেও পুজোর ইতিহাস।
ব্রিটিশ আমলে তৎকালীন খরবা থানায় শুরু হয়েছিল কালীমাতার আরাধনা। পরে খরবা থেকে ১৯৭২ সালে থানা স্থানান্তারিত হয়েছে ১০ কিমি দূরে চাঁচলে। খরবায় এখন রয়েছে পুলিস ফাঁড়ি। সেখানে ভক্তিনিষ্ঠার সঙ্গে মায়ের আরাধনা করা হয়। পাশাপাশি চাঁচল থানাতেও মাতৃমন্দির গড়ে তোলা হয়েছে। কষ্ঠিপাথরের কালীমাতার মূর্তি স্থাপন করে শুরু হয় পুজো। তবে দ্বীপান্বিতার দিন চাঁচল থানা এবং খরবা ফাঁড়িতে মাতৃ আরাধনা করা হয়।
রীতি অনুযায়ী প্রথমে খরবা ফাঁড়িতে মাতৃ আরাধনা হয়। সেখানে পুজো শেষ হওয়ার পরেই চাঁচল থানা সংলগ্নে মাতৃ মন্দিরে শুরু হয় পুজো। সমস্ত বিষয় সামলায় চাঁচল থানা মহিলা আবাসন পুজো কমিটি। কমিটির কর্মকর্তা আনন্দগোপাল দত্ত বলেন, কালীমাতা এখানে জাগ্রত। আগে পশুবলি প্রথা থাকলেও এখন বন্ধ। শাস্ত্র মেনে শক্তিদেবীর আরাধনা হয়। এলাকার কয়েকশো মহিলা ডালা নিবেদন করেন। স্থানীয় মঞ্চনা দাস বলেন, মায়ের পুজো উপলক্ষে সারাদিন উপবাস করি। মা এখানে জাগ্রত। কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজোর প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। মন্দির সহ গোটা এলাকাটি ফুল দিয়ে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। এলাকা আলোকিত করা হবে। মন্দিরের সামনে মূল ফটকে কৃত্রিম গাছ লাগানো হয়েছে। সেলফি জোনও থাকছে। পুজোর দিনগুলিতে খুদে শিল্পীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। ড্রাগের নেশা সর্বনাশা বার্তা দিতে সচেতনতামূলক নাটক ছাড়াও দুঃস্থদের পোশাক বিলির কর্মসূচি রয়েছে। নিজস্ব চিত্র