সংবাদদাতা, পুরাতন মালদহ: কেউ কাউকে শ্রদ্ধা করছে না। দলে একটা পোস্ট পেয়ে ধরাকে সরা জ্ঞান করছেন অনেকে। আসলে নেতৃত্বের অহঙ্কার বেড়ে গিয়েছে। জল কখন, কোথায় গড়িয়ে যাবে বুঝতেও পারবেন না।
মঙ্গলবার পুরাতন মালদহ ব্লকের সাহাপুর হাইস্কুল চত্বরে তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনিতে এসে এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন দলের সহসভাপতি তথা ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। ওই মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, নেতৃত্বকে অহঙ্কার বর্জন করা উচিত। মানুষের বাড়ি বাড়ি যেতে হবে। যোগাযোগ বাড়াতে হবে। নাহলে সব জলে যাবে। গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্র দ্বিতীয়বার দখল করেছে বিজেপি। ওই লোকসভা কেন্দ্রে মালদহ বিধানসভা রয়েছে। যার মধ্যে পড়ে পুরাতন মালদহ ব্লক এবং শহর এলাকা। হবিবপুর এবং ইংলিশবাজারের কিছু গ্রাম রয়েছে। লোকসভা ভোটে ওই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি ৬৪ হাজার ভোটের লিড নেয়। সেখানে তৃণমূল অনেক বুথে পিছিয়ে পড়ে। এদিন বিজয়া সম্মিলনি মঞ্চে একাধিক ক্লাব ছিল। সেখানে দলের একাংশ নেতার মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কৃষ্ণেন্দু। এদিনের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন জেলা সভাপতি রহিম বক্সি সহ অন্যরা। সাহাপুরের মঞ্চ থেকে কৃষ্ণেন্দু আরও বলেন, স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত, বিধানসভা, লোকসভা নির্বাচনে পরাজিত হয়েছি। মানুষকে আমরা বোঝাতে পারেনি তাঁরা এই সরকারের আমলে ভাতা, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ সব পাচ্ছেন। কিন্তু ভোট দিচ্ছেন অন্য কাউকে। মানুষকে বোঝানোর দায়িত্ব নিতে হবে নেতৃত্ব এবং কর্মীদের। মানুষের সঙ্গে মিলে কাজ করলে জেলায় ভালো ফল করতে পারব। সাহাপুর হাইস্কুল চত্বরে তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনিতে বক্তব্য রাখছেন কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী।-নিজস্ব চিত্র