মৃন্ময় বসাক, কালিয়াগঞ্জ: গ্রামে বাস দুই ধর্মের মানুষের। তাই শ্যামাপুজো ঘিরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির হেমতাবাদে। দীপান্বিতা অমাবস্যায় শ্যামা আরাধনায় ব্রতী হবে হেমতাবাদ পূর্বপাড়া শ্যামাপুজো কমিটি। এবার তাদের পুজোর ৫৮তম বর্ষ। মণ্ডপটি তৈরি হচ্ছে বিশেষ আদলে। থিমের নাম ‘পাখির বাসা’। থাকছে আলোকসজ্জাও। এখানে পুজো উপলক্ষ্যে হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির গড়ে পুজো কমিটিতে রয়েছে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা। কমিটির সম্পাদক আশরাফুল আলী ও নারায়ণ দেবভূতি।
সম্পাদক তথা তৃণমূলের হেমতাবাদ ব্লক সভাপতি আশরাফুল বলেন, স্থানীয় বাসিন্দারা একসঙ্গে এই পুজোর আয়োজন করি। এবছর থিম পাখির বাসা। মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে পাখির বাসার আদলে। ব্যবহার করা হয়েছে মাটি, খেজুর পাতা, শাল পাতা, নারকেলের ছোবড়া, বাঁশ এবং কাপড়। হেমতাবাদ ব্লকে প্রতিবছর একটি মাত্র পুজো কমিটিই থিম পুজোর আয়োজন করে। তাই বাসিন্দাদের মূল আকর্ষণ এই মণ্ডপ। পাশাপাশি আশেপাশের এলাকা আলো দিয়ে সাজানো হচ্ছে।
কমিটির আরেক সম্পাদক নারায়ণ দেবভূতির কথায়, পুজোকে কেন্দ্র করে চারদিন সাংস্কৃতিক ও প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান হবে। আজ, বুধবার এই পুজোর উদ্বোধন করবেন হেমতাবাদের বিধায়ক তথা রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মন। তিনি বলেন, এই পুজো ঘিরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির তৈরি হয়। হিন্দু, মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ মিলিত হয়ে পুজোয় অংশ নেন।