সংবাদদাতা, হলদিবাড়ি: গত বছরের মতো এ বছরও হলদিবাড়িতে খোলা হল বাজি বাজার। হলদিবাড়ি পুরসভার উদ্যোগে এই বাজি বাজার চলবে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। মঙ্গলবার দুপুরে হলদিবাড়ি শহরের রবীন্দ্রভবন চত্বরে ছ’টি স্টল নিয়ে আতশবাজির বাজার বসেছে। এখানে শুধুমাত্র লাইসেন্সপ্রাপ্ত দোকানদাররাই পসরা সাজানোর অনুমতি পেয়েছেন। এদিন স্টল খোলার সঙ্গে সঙ্গেই আতশবাজি কেনাকাটা শুরু হয়ে যায়।
হলদিবাড়ি শহরের বাসিন্দা আতশবাজি কিনতে আসা দীপঙ্কর রায় বলেন, শব্দবাজি ফাটালে পরিবেশ দূষিত হয়। তাই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়ে দীপাবলির আগে জয়গায় জায়গায় আতশবাজির স্টল দেওয়ার যে উদ্যোগ নিয়েছে তাকে স্বাগত না জানালেই নয়। তবে আতশবাজি কেনার আগে অবশ্যই প্যাকেটের গায়ে থাকা কিউআর কোড এবং সবুজ লোগো দেখে তারপর যাতে সকলেই কেনেন সেই ব্যাপারে আরও প্রচার চালাতে হবে।
আতশবাজি বিক্রেতা জীতেন পাল বলেন, সবুজ আতশবাজি পোড়ানো হলে পরিবেশে দূষণ কম হবে এবং ক্ষতিও কম হবে। শিশু এবং বয়স্কদের অসুবিধাও কম হবে। নিষিদ্ধ শব্দবাজির দিকে না ঝুঁকে সকলকে সবুজ বাজি কেনা উচিত। হলদিবাড়ি পুরসভার উদ্যোগে রবীন্দ্রভবনের মাঠ থেকে বাজি কিনতে আমরা শহরে প্রচার শুরু করেছি।হলদিবাড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান শঙ্করকুমার দাস বলেন, পরিবেশ দূষণের কথা ও অন্যান্য বিষয়ের উপর নজর রেখে এ বছরও রবীন্দ্রভবনের মাঠে অস্থায়ীভাবে বসানো হয়েছে আতশবাজির স্টল। গতবছর চারটি স্টল ছিল। এবার তা বেড়ে ছ’টি স্টল বসেছে। প্রত্যেকেই প্রশাসন থেকে অগ্রিম লাইসেন্স সংগ্রহ করে পসরা সাজিয়েছেন। আশা করছি, আগামী বছর থেকে এই সংখ্যা আরও বাড়বে। হলদিবাড়িতে বাজি বাজার। - নিজস্ব চিত্র।