নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: কোচবিহারের হোমে থাকে বোনেরা। ভাইদের ঠিকানা জলপাইগুড়ির কোরক হোম। ভাইফোঁটায় বোনদের সঙ্গে দেখা হবে ভাইদের। তারই জন্য এখন অধীর অপেক্ষায় কোরক হোমের কিশোররা। একদিকে কালীপুজোর ‘পাহাড়’, অন্যদিকে ভাইফোঁটায় বোনদের জন্য উপহার বানানোর তোড়জোড়, সবমিলিয়ে কোরকে এখন উৎসবের আমেজ। বোনকে উপহার দিতে তুলো দিয়ে কেউ বানাচ্ছে পুতুল-পাখি, কেউ আবার ছবি আঁকছে, বানাচ্ছে গ্রিটিংস কার্ড।
জলপাইগুড়ির কোরক হোমের সুপার গৌতম দাস বলেন, হোমে থাকা ভাই-বোনদের মাঝেমধ্যে দেখা হয়। আমরা সেই ব্যবস্থা করে থাকি। কিন্তু ভাইফোঁটার দিন দেখা হওয়ার মধ্যে একটা আলাদা আবেগ কাজ করে। কোচবিহারের হোম থেকে ভাইফোঁটা দিতে বোনেরা আমাদের হোমে আসবে। জলপাইগুড়ির মেয়েদের হোম থেকেও অনেকে আসবে ভাইফোঁটা দিতে। নাচ-গান, খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করা হয়েছে। ফোঁটা নেওয়ার পর বোনেদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য পেন, খাতা, রং পেন্সিল, চকোলেটের মতো কিছু উপহার আমরা কিনে রেখেছি। সময়মতো সেসব ছেলেদের দেওয়া হবে। কিন্তু ওরাও নিজেদের মতো করে উপহার তৈরি করতে ব্যস্ত।
কোরক হোমে বর্তমানে ৮৮ জন কিশোর রয়েছে। এদের অনেকেরই বোন বা দিদি রয়েছে অন্য হোমে। তারা যাতে ভাইফোঁটা দিতে পারে, সেই ব্যবস্থা করেছে হোম কর্তৃপক্ষ। কোরকের সুপার বলেন, আমাদের হোমের পাঁচজন কিশোর আবাসিক রয়েছে, যাদের বোন কোচবিহারের হোমে রয়েছে। সেখান থেকে ভাইফোঁটার দিন তাদের আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে যাদের বোন বা ভাই নেই, তারাও যাতে ভাইফোঁটা নিতে বা দিতে পারে, তারও বন্দোবস্ত করেছি আমরা।
তিনি আরও বলেন, কালীপুজোয় জলপাইগুড়িতে ‘পাহাড়’ বানানোর একটা চল রয়েছে। সেইমতো আমাদের হোমের ছেলেরাও ‘পাহাড়’ বানাচ্ছে। এবার ওরা ডিমের ট্রে দিয়ে দুর্গা প্রতিমাও বানিয়েছিল। পুজোও হয়েছে হোমে। পাহাড় বানাচ্ছে কোরক হোমের কিশোররা। - নিজস্ব চিত্র।