সোমেন পাল, গঙ্গারামপুর: ৫৫ তম বর্ষে গঙ্গারামপুর তরুণের আহ্বান ক্লাবে কালীপুজোর থিম কলস ভরা সোনার ফসল। জেলা তথা উত্তরবঙ্গের অন্যতম বিগ বাজেটের কালীপুজো করে আসছে এই ক্লাব। তবে মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রের ক্লাব বলেই সকলের কাছে জনপ্রিয়।
দুর্গাপুজোর চতুর্থীতে খুঁটিপুজো করে মণ্ডপের কাজের সূচনা করেছিলেন মন্ত্রী। প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা বাজেটে মণ্ডপ হচ্ছে পাট ও পাটের কাঠি দিয়ে। দর্শনার্থীরা দেখতে পাবেন কাল্পনিক মন্দির। পাটের কাঠি দিয়ে বিভিন্ন ডিজাইনের মাধ্যমে আকর্ষণীয় করে তোলা হয়েছে সামনেটা। কৃষকরা গরুর গাড়িতে করে মা লক্ষ্মীকে নিয়ে যাচ্ছেন, সঙ্গে ধামসা, মাদল বাজানোর দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। মণ্ডপের ভিতরে বাঁকুড়ার বিখ্যাত ডোকরা শিল্পের মাধ্যমে পাটের আঁশ ও পাটকাঠি দিয়ে বিভিন্ন ধরণের দেবদেবী, হাতি, ঘোড়া, কৃষকদের ধান রাখার কলস, ধানের গোলা দিয়ে সাজানো হয়েছে। তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই কালীর মৃন্ময়ীরূপের দেখা মিলবে। ছোটদের জন্য বাহারি আলোকসজ্জা থাকছে গঙ্গারামপুর চৌপথী থেকে ক্লাব চত্বর পর্যন্ত। পুজোর উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র।
তিনদিন ধরে স্থানীয় ও বহিরাগত শিল্পীদের দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করেছেন উদ্যোক্তারা। এছাড়া কয়েক হাজার দুঃস্থকে বস্ত্র ও রেশন বিলি করা হবে। ক্লাব সদস্যরা সারা বছর রক্তদান শিবির, ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প ও দুঃস্থ পরিবারের মেয়েদের বিয়ের ব্যবস্থার মতো সামাজিক কাজ করে থাকেন। সভাপতি বিপ্লব মিত্রের কথায়, ১৯৭১ সালে ক্লাব প্রতিষ্ঠা হয়। পশ্চিম দিনাজপুর জেলায় গঙ্গারামপুর তখনও শহরের রূপ পায়নি। তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধ করে সমাজের জন্য কাজ করার উদ্যম নিয়ে ক্লাব তৈরি হয়েছিল। আমার হাত দিয়ে প্রতিষ্ঠা পেলেও দাদা প্রলয় মিত্র নাম দেন তরুণের আহ্বান। ক্লাবের জন্মলগ্ন থেকে কালীপুজো করে আসছি। এবারের থিম দর্শনার্থীদের মন কাড়বে। নিজস্ব চিত্র