ছটপুজোর জন্য মাটিগাড়া ব্লকের একাধিক ঘাট পরিদর্শন প্রশাসনের
বর্তমান | ৩০ অক্টোবর ২০২৪
সংবাদদাতা, বাগডোগরা: কালীপুজো পেরোলেই ছট পুজো। মাটিগাড়া ব্লকের কয়েক হাজার মানুষ সেই উত্সবে শামিল হন। সেজন্য আগেভাগে প্রস্তুত হচ্ছে প্রশাসনও। মঙ্গলবার মাটিগাড়া ব্লকের বিভিন্ন ছট ঘাট পরিদর্শন করলেন ব্লক প্রশাসন, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্তারা। মাটিগাড়ার বিডিএমও বিবেক লামা, পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সুশান্ত ঘোষ সহ গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মকর্তারা ঘাট পরিদর্শনে যান। ব্লকের পঞ্চনই নদীর একাধিক ছট ঘাট এবং মহানন্দার বিভিন্ন ছটঘাট ঘুরে দেখেন প্রশাসনের কর্তারা।
মাটিগাড়ার পঞ্চনই শিশুডাঙ্গির ছট ঘাট থেকে মহানন্দার খোলাইবক্তরির ছট পুজো কমিটির সদস্যদের সঙ্গে তারা কথা বলে বিভিন্ন প্রয়োজনে পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এদিকে ছট ঘাটে প্রশাসনের কর্মকর্তারা আসায় নিজেদের বিভিন্ন সমস্যা ও প্রয়োজনের কথা জানান কমিটির সদস্যরা। খোলাইবক্তরি ছট পূজা কমিটির অধ্যক্ষ রাম সিং জানান, প্রতিবছর এই ঘাটে প্রায় ৩০থেকে ৩৫হাজার মানুষের ভিড় হয়। আমাদের প্রধান সমস্যা বাঁধ থেকে নদীর দূরত্ব অনেকটাই। এতে ছটব্রতীরা সমস্যায় পড়েন। বহুদূর থেকে অনেক ছটব্রতী দণ্ডি কেটে আসেন। নদীতে নামার জন্য সিড়ি ও রেলিংয়ের ব্যবস্থা করার জন্য প্রশাসনের কর্তাদের জানালাম। আমরা আশাবাদী, তারা এই সমস্যার সমাধান করবেন।
অপরদিকে, শিশুডাঙ্গির একটি ছটঘাটের সভাপতি শুভমকুমার বিন জানান, প্রশাসনের কর্তাদের আমাদের বিভিন্ন প্রয়োজনের কথা জানিয়েছি। দু’বছর ধরে গ্রাম পঞ্চায়েত আর্থমুভার দিয়ে ঘাট পরিস্কার করেছে। এবারও করে দেবে বলেছেন। তাছাড়াও প্রধানকে সামনে পেয়ে নদীতে যাওয়ার রাস্তাটিও মেরামতের কথা জানান তিনি।
এদিন মাটিগাড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি সুশান্ত ঘোষ জানান, প্রতিবছরই ব্লক প্রশাসন, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত যৌথভাবে এই পরিদর্শন করে থাকি। এবছরও এসে পুজো কমিটিগুলির বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনলাম। ছট ব্রতীদের যাতে পুজো করতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য সব ব্যবস্থা করা হবে। বাঁধ থেকে নদীতে নামার সিঁড়ি ও আলোর ব্যবস্থাও করা হবে। মাটিগাড়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দিপালী ঘোষ বলেন, পুজো কমিটিদের সঙ্গে কথা বললাম। তাদের বিভিন্ন প্রয়োজন ও সমস্যা রয়েছে। সে সমস্ত সমস্যার সমাধান করা হবে। নিজস্ব চিত্র।