• এক সপ্তাহের মধ্যে শিবপুর খুনের কিনারা করল হাওড়া সিটি পুলিস
    বর্তমান | ৩০ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধান। তার মধ্যেই শিবপুরের দুষ্কৃতী খুনের ঘটনার কিনারা করল হাওড়া সিটি পুলিসের গোয়েন্দারা। খুনের ঘটনায় মূল ষড়যন্ত্রকারী তৌসিফ ওরফে গ্যাড়া সহ মোট ৬ দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। শুধু তাই নয়, খুনের পর উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জেলায় দুষ্কৃতীদের গা ঢাকা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল বলেও জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। 

    গত বুধবার রাতে শিবপুর থানার কাছে জিটি রোডের ওপর গুলি করে খুন করা হয় কুখ্যাত দুষ্কৃতী আব্দুল কাদের ওরফে প্রেমকে। গ্যাং ওয়ারের কারণেই এই খুনের ঘটনা বলে স্পষ্ট ইঙ্গিত পায় হাওড়া সিটি পুলিস। বৃহস্পতিবার খুনের ঘটনায় অপর দুষ্কৃতী গোষ্ঠীর সদস্য নওয়াজ আনসারি ওরফে বুদুকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেপ্তার করে পুলিস। সেদিনই রাতে খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র অন্যত্র পাচারের চেষ্টা করছিল খুনে যুক্ত দুই দুষ্কৃতী। পুলিসের নাকা চেকিং দেখে তারা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও, ঘটকপুকুর এলাকা থেকে একটি স্কুটি ও পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করে ভাঙ্গড় থানার পুলিস। এরপর গত শুক্র ও শনিবার হাওড়ার একটি গোপন ডেরা থেকে মহম্মদ দানেশ ও মহম্মদ ফয়সলকেও পাকড়াও করেন গোয়েন্দারা।

    তিন দুষ্কৃতী গ্রেপ্তার হলেও মাস্টারমাইন্ড গ্যাড়া সহ বাকি তিনজন উত্তরপ্রদেশে পালিয়ে যাওয়ার ছক কষছে বলে সূত্র মারফত খবর পায় হাওড়া সিটি পুলিস। সে রাজ্যের গাজিপুর, সুলতানপুর, বড়াবাঁকি ও আজমগড়ে পলাতক আততায়ীদের যোগাযোগ রয়েছে বলে জানতে পারেন গোয়েন্দারা। হাওড়া সিটি পুলিসের একটি বিশেষ টিম এই চারটি জায়গায় হানা দিয়ে গত রবিবার গাজিপুর থেকে কুখ্যাত ক্রিমিনাল আখতারকে গ্রেফতার করে। তাকে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে আসা হয় হাওড়ায়। কিন্তু পুলিসের কাছে মাথাব্যথার অন্যতম কারণ হয়ে উঠেছিল গ্যাড়া। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের সঙ্গে হাওড়া সিটি পুলিসের গোয়েন্দারা এদিন যৌথভাবে নিমতা থানা এলাকায় অভিযান চালায়। একইসঙ্গে মাস্টারমাইন্ড গ্যাড়া ও বিকিকে জালে তুলতে সক্ষম হয় পুলিস। ধৃতদের কাছ থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, ৭ রাউন্ড গুলি, নগদ ৫৩ হাজার টাকা ও একটি মোটরসাইকেল বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে হাওড়া সিটি পুলিসের কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল কুখ্যাত গ্যাংটির একজনও যাতে অধরা না থাকে। এক সপ্তাহের মধ্যেই এই খুনের ঘটনার কিনারা করা সম্ভব হয়েছে। হাওড়া সিটি পুলিসের পাশাপাশি অন্যান্য জেলার 

    পুলিসও যৌথভাবে এই সাফল্যের অংশীদার।’ -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)