কল্যাণীর মঞ্চ থেকেই উত্তরবঙ্গে বঙ্গের দ্বিতীয় এইমস তৈরির ডাক
বর্তমান | ৩০ অক্টোবর ২০২৪
সংবাদদাতা, কল্যাণী: কল্যাণীর অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই ফের নতুন করে উত্তরবঙ্গে এইমস তৈরির দাবি তোলা হল। এক সময় কংগ্রেস নেতা প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির স্ত্রী দীপা দাশমুন্সি দীর্ঘদিন দাবি রেখেছিলেন উত্তরবঙ্গের উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে এইমস তৈরির। তাঁর যুক্তি ছিল, উত্তরবঙ্গে এইমস হলে উত্তরের ছ’টি জেলার সঙ্গে বিহার, ত্রিপুরা ও অসমের একাংশের মানুষ উপকৃত হবেন। কিন্তু বিভিন্ন কারণে শেষ পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে এইমস তৈরির পরিকল্পনা সফল হয়নি। তার বদলে দক্ষিণবঙ্গের কল্যাণীতে এইমস তৈরি হয়। মঙ্গলবার সেই কল্যাণীর এইমসে প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদী ভার্চুয়ালি তিনটি পরিষেবার উদ্বোধন করেন। কল্যাণীর সেই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য উত্তরবঙ্গে এইমস তৈরির প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত এইমস প্রথমে ছিল রায়গঞ্জে। শুধুমাত্র রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ের কারণে এইমস কল্যাণীতে এসেছে। তাকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি। কিন্তু উত্তরবঙ্গে এমন কিছু জায়গা আছে, যেখানকার মানুষকে ২০০ কিলোমিটার যেতে হয় আধুনিক চিকিৎসার জন্য। যদি বিহার, উত্তরপ্রদেশ দুটো এইমস পেতে পারে, তাহলে পশ্চিমবঙ্গে কেন পাবে না! কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, রাজ্যের তরফে এই ধরনের কোন প্রস্তাব আসেনি। যদি প্রস্তাব পৌঁছয়, তবে কেন্দ্রীয় সরকার প্রস্তুত আছে রাজ্যে আরও একটি এইমস তৈরি করতে।
এদিন দিল্লি থেকে কল্যাণী এইমসে কার্ডিয়াক ক্যাথ ল্যাব, হার্ট লাং যন্ত্র ও ‘প্রধানমন্ত্রী জন ঔষধি পরিষেবা’র ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি ৭০ বছরের উর্ধ্বে দেশের সকল প্রবীণ মানুষদের জন্য আয়ুষ্মান যোজনার মাধ্যমে পাঁচ লক্ষ টাকার জীবন বিমা প্রকল্প চালু করেন। সেই প্রসঙ্গে ভাষণ দিতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও দিল্লির সরকারের সমালোচনা করেন মোদি। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গ ও দিল্লির ৭০ উত্তীর্ণ সকল প্রবীণ মানুষদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আপনাদের সাহায্য করতে পারব না। এর কারণ হল, দিল্লি এবং পশ্চিমবঙ্গের সরকার আয়ুষ্মান যোজনার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে না। রাজনৈতিক স্বার্থে নিজেদের রাজ্যের অসুস্থ মানুষদের কষ্টে রাখার প্রবণতা, যেকোনও মানবিক মনোভাবের বিরোধী। তাই আমি পশ্চিমবঙ্গ ও দিল্লির প্রবীণ মানুষদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে সমাজমাধ্যমে বলা হয়েছে, বাংলার প্রায় দেড় কোটি পরিবার স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় রয়েছে। যার পুরো খরচই বহন করে রাজ্য সরকার। সেখানে আয়ুষ্মান প্রকল্পে কেন্দ্র দেয় ৬০ শতাংশ টাকা। সেই প্রকল্প গ্রহণ করে রাজ্যের লাভ কী!