নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দেরিতে হলেও শহিদ মিনারে অবশেষে শুরু হল বাজি বাজার। মঙ্গলবার থেকে সমহিমায় শুরু হয়েছে শহিদ মিনার ও টালা পার্কের বাজি বাজার। তার আগেই অবশ্য চালু হয়ে গিয়েছে কালিকাপুরের বাজি বাজার। এই বছর বাজি বাজারে রয়েছে চোখ ধাঁধানো সব বাজি। এমন সব বাজি রয়েছে, যা আকাশে উঠে নানা ধরনের আকার নেবে। কিছু বাজি আছে, যা পোড়ালে আকাশের গায়ে ফুটে উঠবে আলাদিনের জিন। কিছু বাজি আবার ক্রিস্টাল আলো ছড়াবে। রয়েছে বাচ্চাদের পছন্দের হাঁসবাজি। আবার কিশোরদের আকর্ষণের জন্য রয়েছে ‘আর্মি ফায়ার’।
তবে শহিদ মিনার লাগোয়া মাঠের অবস্থা খুবই খারাপ। একেবারে কাদাজলে ভর্তি। ফলে এই বছর বাজি কেনার পর মাঠে বাদাম নিয়ে বসে খানিকক্ষণ গল্প করার অবকাশ থাকছে না ক্রেতাদের। প্রতিটি দোকানের পাশ দিয়ে কাঠের র্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। ক্রেতারা সেই র্যাম্প দিয়ে হেঁটেই বাজি কিনছেন। এদিন ময়দানের বাজি বাজার থেকে হরেক কিসিমের বাজি ও শেল কিনে ফিরছিলেন কসবার বাসিন্দা প্রতীক রায়। তিনি বলছিলেন, ‘একেবারে নিয়ম মেনে দু’ঘণ্টা সবুজ বাজি পোড়াব। তাই এই অনুমোদিত বাজার থেকে বাজি কিনেছি। শব্দ বাজি পোড়াতে ভালো লাগে না। তাই শুধুই আলোর বাজি।’
এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের জন্য বাজার বসতে দেরি হয়েছে। বাজি ব্যবসায়ী মেহমুদ আলম বলছিলেন, ‘ওপরওয়ালার উপর ছেড়ে দিয়েছি। কয়েকদিন দেরি হলেও, এখন বাজার খুব খারাপ নয়। ধীরে ধীরে ভিড় হচ্ছে। মানুষজন বাজি কিনছেন।’ নতুন বাজির মধ্যে রয়েছে আলাদিনের জিন। যার দাম ১২৫০ টাকা। ব্যবসায়ীদের কথায়, শেল ফাটালে ফোয়ারার মতো আলো ছড়াবে। তারপর সেই আলো আলাদিনের জিনের চেহারা নেবে। তেমনই রয়েছে ৮৫০ টাকার ক্রিস্টাল। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, এইসবই সবুজ বাজি। কিউআর কোডও রয়েছে। শিবকাশি থেকে আসা এই বাজির চাহিদা তুঙ্গে। এছাড়াও রয়েছে ‘আর্মি বাজি’। এই বাজি আকাশে উড়লেই বুলেটের মতো পরপর ফাটতে থাকবে।
বড়বাজার ফায়ার ওয়ার্কস অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ শান্তনু দত্ত বলছিলেন, ‘৩৮টি দোকান নিয়ে শুরু হয়েছে এই বাজার। মঙ্গলবার বিকেল থেকে ক্রেতাদের ভিড় শুরু হয়েছে। এখন দেখা যাক! হাতে তো আর মাত্র একটা দিন। আমাদের এখানে সমস্ত নিয়ম মেনেই দোকান বসেছে। এখানে এলে সবুজ
বাজিই পাবেন।’ তবে মাঠে জলকাদা থাকায়, অন্যান্য বছরের মতো এবার খাবারের দোকান সেভাবে বসতে পারেনি। - নিজস্ব চিত্র