• রাতে দেদার বাজি পুড়ছে মা ফ্লাইওভারে, প্রশ্নে নজরদারি
    বর্তমান | ৩০ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ফ্লাইওভারে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা যায় না। পায়ে দাঁড়ানোও নিষেধ। বাজি ফাটানোর তো কোনও প্রশ্নই ওঠে না। তা সত্ত্বেও মা ফ্লাইওভারে ছড়িয়ে পোড়া বাজির খোল। শেল, শট, চড়কি, তুবড়ি, কী নেই! পুলিসেরই অনুমান, কেউ বা কারা মা’তে উঠেছেন। গাড়ি থামিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মনের আনন্দে বাজি পুড়িয়েছেন। তারা কারা? সিসি ক্যামেরা দেখে কি তাঁদের চিহ্নিত করা গিয়েছে। পুলিসের বক্তব্য, না। সিসি ক্যামেরায় গাড়ি দাঁড়াতে দেখা যায়নি। 

    মা ফ্লাইওভারে মেট্রোপলিটন যাওয়ার র‌্যাম্প থেকে নামার সময় প্যানিক ব্রেক কষতে বাধ্য হলেন এক বাইক চালক। প্রায় নিয়ন্ত্রণ হারাতেই বসেছিল বাইকটি। ফ্লাইওভারের উপর ছড়িয়ে আতসবাজির পোড়া খোল। কালীপুজোর আগেই রাতে ফাঁকা মা ফ্লাইওভারে চলছে দেদার বাজি পোড়ানো। এই প্রবণতা বিপজ্জনক। যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা। ফলে রীতিমত প্রশ্ন উঠছে রাতের ফ্লাইওভারের পুলিসি নিরাপত্তা ঘিরে।

    রাত ১০টা থেকে সকাল ছ’টা পর্যন্ত মা ফ্লাইওভারে নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখে লালবাজার। এই সময়কালে বাইক চলাচল নিষিদ্ধ। পাশাপাশি গভীর রাতে অন্যান্য গাড়ির সংখ্যাও কমে যায়। পুলিসের অনুমান, ফ্লাইওভার ফাঁকা থাকার সুযোগে বাজি ফাটানো হচ্ছে। নাগরিকদের যদিও প্রশ্ন, লালবাজারের কড়া নজরদারি এড়িয়ে ফ্লাইওভারে উঠে বাজি ফাঠাচ্ছে কী করে? ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পর বিষয়টি খতিয়ে দেখছে তিলজলা ট্রাফিক গার্ড ও প্রগতি ময়দান থানা। ফ্লাইওভারের উপর বসানো সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়েও দেখেছে। কিন্তু ক্যামেরায় কোনও গাড়ির দেখা মেলেনি বলে দাবি করেছে। পাশাপাশি স্বীকার করেছে, রাতে এমন বেপরোয়াভাবে কোনও ফ্লাইওভারের উপরে উঠে বাজি পোড়ানোর ঘটনা শহরে এর আগে হয়নি। ফ্লাইওভারে বহু সিসি ক্যামেরা বসানো আছে। সেগুলি মনিটারিং করে পুলিস। ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, ফ্লাইওভারের উপরে বাজি পোড়ানো হলে তার ছবি ক্যামেরায় অবশ্যই আসা উচিত। 

    সে ছবি নজরদারি টিমের চোখ এড়িয়ে গেল কীভাবে? এই এলাকা কি ক্যামেরার নজরদারির বাইরেই থেকে গিয়েছে। এই ধরনের একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এখন। লালবাজারের ট্রাফিক বিভাগের এক আধিকারিক বলেছেন, রাতে মা ফ্লাইওভারের উপর গাড়ির গতি ঘণ্টায় ৬০-৭০ কিলোমিটার থাকে। সেখানে গাড়ি দাঁড় করিয়ে বাজি পোড়ালে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। প্রাণহানিরও প্রবল সম্ভাবনা। এই ঘটনার ক্ষেত্রে ফ্লাইওভারে কর্তব্যরত পুলিসের গাফিলতি রয়েছে কি না তা তদন্ত করে দেখা হবে। 
  • Link to this news (বর্তমান)