পুজোর উপচার থেকে ‘জ্যান্ত ভূত’-এর থিম নারায়ণপুরের মণ্ডপে
বর্তমান | ৩০ অক্টোবর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: থিম, মণ্ডপ, ভিড়ের টানে দর্শনার্থীদের অনেকেই ভুলতে বসেছেন পুজোর আসল উপচার। অথচ, উপচার ছাড়া হিন্দুধর্মের কোনও পুজোই সম্পন্ন হয় না। এবার কালীপুজোর থিমে ফুটে উঠছে সেই উপচারের কাহিনি। কালীপুজোর সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে ভূতচতুর্দশীর গল্প। তাই ‘হন্টেড হাউস’-এর আদলে তৈরি হচ্ছে আস্ত মণ্ডপ। কোথাও ‘কৈবল্য’ কাহিনি, কোথাও আবার বৃন্দাবনের প্রেমমন্দির। এবার অভিনব থিমে সেজে উঠছে নারায়ণপুরের কালীপুজোর মণ্ডপ। সামঞ্জস্য রেখেই ভিতর থাকবে মাতৃপ্রতিমা। সঙ্গে অপরূপ আলোকসজ্জা। সব মিলিয়ে পাড়ায় পাড়ায় আলো ফুটছে দীপাবলি উৎসবের।
প্রতিবার নতুন থিম নিয়ে হাজির হয় নারায়ণপুরের নেতাজি সঙ্ঘের মণ্ডপ। এই পুজো রাজারহাট-নিউটাউনের বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়ের পুজো নামেই পরিচিত। বিধায়কের পুজো দেখতে দূর-দূরান্তের মানুষ ভিড় জমান। এবার নেতাজি সঙ্ঘের থিম, ‘উপচার’। পুজো উদ্যোক্তাদের কথায়, হিন্দুধর্মে উপাসনা বা পুজোর অংশ হিসেবে দেবতার উদ্দেশে অর্পিত অর্ঘ্য ও সেবাকে বলা হয় উপচার। এটা প্রধানত চার প্রকারের হয়ে থাকে। পঞ্চোপচার, দশোপচার, ষোড়শপচার এবং অষ্টাদশোপচার। উপচারের নানা উপাদান নিয়েই সেজে উঠছে মণ্ডপ। তাপসবাবু বলেন, নেতাজি সঙ্ঘের পুজো এবার ৪৮ বছরে পদার্পণ করল। এবারের অভিনব থিম দর্শনার্থীদের অন্য স্বাদ জোগাবে।
নেতাজি সঙ্ঘের পাশেই রয়েছে প্রগতি সঙ্ঘ। বৃন্দাবনের প্রেমমন্দিরের আদলে এখানে মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। দেখে মনে হবে, আপনি বৃন্দাবনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। সেই আবহ তৈরি করা হচ্ছে। প্রগতি সঙ্ঘের পুজো এবার ৫৬ বছরে পড়ল। রবীন্দ্র সঙ্ঘের পুজোর থিম ‘কৈবল্য’। মণ্ডপে ঢোকার মুখেই দেখা যাবে, বুদ্ধের মূর্তি। টাঙানো হয়েছে রঙিন ‘প্রার্থনা পতাকা’। পুজোর অন্যতম কর্মকর্তা সুমন ঘোষ বলেন, কৈবল্য মার্গের মুহূর্তকে তুলে ধরা হয়েছে। ওইসঙ্গে সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তাও দেওয়া হয়েছে। আমাদের পুজো এবার ১১ বছরে পড়ল। সবুজ সঙ্ঘের পুজোর থিম, ‘হন্টেড হাউস’। মণ্ডপে ঢুকতে গিয়ে দর্শনার্থীদের চমকে উঠতে হবে। কারণ, মণ্ডপের ভিতরে থাকবে ‘জ্যান্ত ভূত’! পুজো কমিটির অন্যতম কর্মকর্তা উত্তম মিত্র বলেন, আমাদের পুজো এবার ৪০ বছরে পদার্পণ করল। হন্টেড হাউসের আদলে মণ্ডপ সেজে উঠছে। ভিতরে ছোট ছোট ঘরে লাইভ শো’য়ের মতো ভূত সেজে থাকবেন কিছু শিল্পী। তাঁরাই ‘জ্যান্ত ভূত’ হবেন।