আবাস যোজনা: ফের বিক্ষোভ দেগঙ্গায়, ৬৬ শতাংশ সার্ভে শেষ দক্ষিণ ২৪ পরগনায়
বর্তমান | ৩০ অক্টোবর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সোমবারের পর মঙ্গলবার। ফের আবাস যোজনার সার্ভেতে গিয়ে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হল সরকারি আধিকারিকদের। পাকাবাড়ির থাকা সত্ত্বেও কীভাবে অনেকে আবাস যোজনায় বাড়ির জন্য আবেদন করলেন, তা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। বিক্ষোভের জেরে উত্তেজনা ছড়ায় দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা ২ পঞ্চায়েতের পশ্চিম যাদবপুর গ্রামে। আধিকারিকদের গাড়ি আটকে রাখা হয়। দেগঙ্গা থানার পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সরকারি আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিদের দাবি, পুরনো তালিকা অনুযায়ী সমীক্ষা হচ্ছে। সেই ক্ষেত্রে আগে যাঁদের কাঁচাবাড়ি ছিল তাঁরা হয় তো পরবর্তীতে পাকাবাড়ি নির্মাণ করেছেন। সেইগুলি সমীক্ষা করেই বাদ দেওয়া হবে। গ্রামবাসীরা ভুল বুঝে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।
এদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আবাসের সমীক্ষার কাজ কেমন চলছে তা সরজমিনে খতিয়ে দেখলেন পঞ্চায়েত দপ্তরের কমিশনার বিশ্বজিৎ দত্ত। মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে সোনারপুর এবং ভাঙড়-১ ব্লকে গিয়েছিলেন তিনি। প্রায় ১৮-১৯ জন উপভোক্তার বাড়ি গিয়ে তথ্য যাচাই করেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
জানা গিয়েছে, জেলায় ৬৬ শতাংশ সমীক্ষার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কিছু ব্লক যেমন গোসাবা, সাগর, ভাঙড় ১, ক্যানিং ১, ২ ব্লকে ৮০ শতাংশের বেশি উপভোক্তার তথ্য যাচাই শেষ করে ফেলেছেন আধিকারিকরা। এই কাজে এখন অনেকটাই পিছিয়ে আছে ডায়মন্ডহারবার ১ ও ২, নামখানা, মথুরাপুর দুইয়ের মতো ব্লক। এই সব জায়গায় মঙ্গলবার পর্যন্ত ৫০ শতাংশ কাজও হয়নি বলে খবর। জেলার এক আধিকারিক বলেন, যেসব ব্লক বেশি করে সমীক্ষক দল নামিয়েছে, তাদের কাজ অনেকটা হয়ে গিয়েছে। বাকিরাও যাতে গতি বাড়ায়, সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে, সমীক্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে বিপুল সংখ্যায় নাম বাদ যাচ্ছে। সেগুলি যাতে আবার ভালো করে পরীক্ষা করা হয় সেই পরামর্শ দিয়েছেন দপ্তরের আধিকারিকরা।