• থানায় ঢুকে পুলিসকে মারধর তৃণমূল নেতা-সমর্থকদের! গুরুতর অভিযোগ বিজেপির
    ২৪ ঘন্টা | ৩০ অক্টোবর ২০২৪
  • প্রসেনজিত্ সর্দার: কালী পুজোর চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে তুলকালাম। শাসক দলের লোকজন থানায় ঢুকে পুলিসকে মারধর করার অভিযোগ করল বিজেপি। ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিংয়ের রায়বাঘিনী এলাকায়। এনিয়ে সরব শুভেন্দু অধিকারী।

    বিজেপি ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ক্য়ানিং রায়বাঘিনী মোড়ে বেশ কয়েকজন যুবক কালীপুজোর চাঁদা তুলছিল। স্থানীয় তৃণমূল নেতা জয়ন্ত ঘোড়াইয়ের নেতৃত্বে চাঁদা তোলা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। চাঁদা তোলার অভিযোগ পেয়ে পুলিস ২ যুবককে থানায় তুলে নিয়ে আসে। এর পরেই তৈরি হয় সমস্যা। খবর পেয়ে থানায় আসে তৃণমূল নেতা-সমর্থকরা। তারা পুলিসের উপরে চাপ সৃষ্টি করে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, পুলিসকে মারধরও করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। স্তানীয় তৃণমূল বিধায়ক পরেশ রাম দাস থানায় এসে বিষয়টি মিটমাট করে নেন।

    ওই ঘটনা নিয়ে বিজেপির তরফে বলা হয়েছে, কালীপুজোর চাঁদা তুলতে গিয়ে তৃণমূল নেতা স্বপন ঘোড়ুই সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে গাড়ি চালকদের উপরে জোর জুলুম করছিল। পুলিসে এসে জয়ন্ত ঘোড়াইকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। ক্যানিংয়ে তৃণমূল যুব সভাপতি অরিত্র বোস ও অন্যান্যরা যেভাবে থানার মধ্যে পুলিসকে গালিগালাজ ও মারধর করে জয়ন্তকে ছাড়িয়ে নিয়েছে তা লজ্জাজনক ঘটনা।

    এদিকে, ওই ঘটনা নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে সরব হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি লিখেছেন ক্যানিংয়ের তৃণমূল নেতা অরিত্র বোস ক্যানিং থানায় ঢুকে পুলিসকে মারধর করেছে ও অভিযুক্ত জয়ন্ত ঘোড়াইকে ছাড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। এরা দুজনেই ক্যানিংয়ে বিধায়ক পরেশ দাসের ঘনিষ্ঠ। ডিজিকে অনুরোধ করব এই ঘটনার তদন্ত করে প্রকৃত তথ্য উদঘাটন করা হোক। এনিয়ে পরেশ দাস বলেন, এরকম কোনও ঘটনা ঘটেছে বলে তাঁর জানা নেই।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)